মার্কিন-ব্রিটিশ নাগরিকসহ ৩৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিলো কঙ্গো
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম এবং কানাডার নাগরিকসহ ৩৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি সামরিক আদালত।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মে মাসে কঙ্গোলিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গার নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স টিশিসেকেদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার সরকারি বাসভবন ও তার এক বন্ধুর বাড়িতে হামলা হয়েছিল। হামলার সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনা সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মালাঙ্গাসহ আরও পাঁচজন।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ-সেনা যৌথ বাহিনী। সামরিক আদালতে প্রায় সাড়ে তিন মাস বিচার চলার পর শুক্রবার ৩৭ জনকে ফাঁসি এবং বাকি ১৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়। দেশটির জাতীয় টিভি এবং রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় শুনানি।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গার ছেলে ও মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে একজন মার্সেল মালাঙ্গাও রয়েছেন। যদিও বিচারের সময় বলেছিলেন; তার বাবা ক্রিস্টিয়ান তাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে হামলায় অংশ না নিলে তিনি মার্সেলকে হত্যা করবেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের আরেক মার্কিন নাগরিক টেইলর থম্পসন, যিনি মার্সেলের বন্ধু এবং তার সঙ্গেই কঙ্গো গিয়েছিলেন। ২০ বছর বয়সী এই দুই বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের উটাহে একটি ক্লাবে একসাথে ফুটবল খেলতেন।
গত জুনে টেইলর থম্পসনের সৎমা মিরান্ডা থম্পসন বিবিসিকে বলেছিলেন, টেইলর কীভাবে বা কখন কঙ্গোতে যায় এ বিষয়ে তার পরিবার কিছুই জানত না। আমরা তার বিষয়ে ইন্টারনেটে গুগলের মাধ্যমে জানতে পারি।
তৃতীয় আমেরিকান, বেঞ্জামিন জালমান পলুনের সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ান মালাঙ্গার ব্যবসায়িক স্বার্থ ছিল। এছাড়াও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জিন-জ্যাক ওয়ান্ডো, একজন দ্বৈত কঙ্গোলিজ এবং বেলজিয়ামের নাগরিক।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ব্রিটিশ এবং কানাডিয়ান নাগরিকরা কঙ্গোলিজ বংশোদ্ভূত ছিলেন। আদালতে প্রমাণ হয়েছে, ব্রিটিশ নাগরিক ইউসুফ ইজাঙ্গি অংশ নেওয়া আরও কয়েকজনকে নিয়োগে সহায়তা করেছিলেন।
এদিকে দণ্ডপ্রাপ্তরা যদি চান, তাহলে রায় বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। সেজন্য তাদেরকে ৫ দিন সময় দিয়েছেন সামরিক আদালত।
(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/এমআর)