খুবিতে আদিবাসী ছাত্রকল্যাণ সংস্থার মানববন্ধন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে আদিবাসী ছাত্রকল্যাণ সংস্থা। এ সময় বন্দুকের গুলিতে নয় আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিরসনসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তারা।
শুক্রবার বিকালে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক আবুল বাশার বলেন, ‘পাহাড়ে যারা বসবাস করে তাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলে রীতিমতো অপমানিত করা হয়। ১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত আমরা আজও বৈষম্যহীন স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারিনি। যারা শাসন ক্ষমতায় আছেন তাদেরকে বলতে চাই যে, অবিলম্বে আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালানো বন্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনার কোন বিকল্প নেই। প্রয়োজনে দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক আলোচনা করতে হবে তবুও বন্দুকের গুলি চালানো যাবে না। পাহাড়ে সকল প্রকার সামরিক শাসন বন্ধ করতে হবে।’
ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রেশমি চাকমা বলেন, ‘পৃথিবীর সব ফুল যদি গোলাপ হতো তাহলে আমরা শিউলি ফুলের সুভাষ পেতাম না। তেমনি বাংলাদেশে যদি একমাত্র বাঙালিরাই থাকতো তাহলে বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশ পেতেন না। আমরা আদিবাসী আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য রয়েছে। আমরাও অন্যান্যদের মতো স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আমরা আমাদের অধিকার চাই। আমরা সেনাবাহিনীর বিপক্ষে নয় বরং পাহাড়ে সেনাশাসনের বিপক্ষে। পাহাড়ে নিরাপত্তার নামে সেনাবাহিনী আদিবাসীদের উপর যে নির্যাতন চালায় তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা ভেবেছিলাম অন্যান্যদের মতো আমরাও স্বাধীন হবো কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।
আদিবাসী এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা বাজারে গেলেও সেনাবাহিনীর কাছে কৈফিয়ত দিতে হয় কতটুকু বাজার করবো। একটি স্বাধীন দেশে এটা চলতে পারে না। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিভক্ত করতে চাই না কিন্তু আমরা আমাদের অধিকার চাই। আপনারা যেমন বাংলাদেশকে ভালোবাসেন আমরাও আমাদের এই মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি।’
(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/পিএস)