সেনাকর্মকর্তা তানজিম হত্যা: এজাহারভুক্ত আসামি সাদেক কক্সবাজারে গ্রেপ্তার

আলোচিত সেনাকর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জন হত্যাকাণ্ডের মামলায় এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি মো. সাদেককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ফাঁসিয়াখালি থেকে র্যাব-১৫ এর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার সকালে র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবুল কালাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার এই সেনাকর্মকর্তা হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ছয়জন হলো- মো. বাবুল প্রকাশ (৪৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪), মো. আনোয়ার হাকিম (২৮), মো. আরিফ উল্লাহ (২৫), মো. জিয়াবুল করিম (৪৫) এবং মো. হোসেন (৩৯)। আটককৃতদের মধ্যে মো. বাবুল প্রকাশ এই ঘটনার মূল অর্থ যোগানদাতা। এছাড়াও তিনি লেফটেন্যান্ট তানজিমকে প্রাণঘাতী ছুরিকাঘাত করে বলে প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দেন।
ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযান চালানোর সময় গত ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) শহীদ হন।
আটক সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে দুইটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ধরনের ১১টি গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতদের মধ্যে চারজন প্রত্যক্ষভাবে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং অন্য দুইজন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে।
অন্যান্যদের মধ্যে ডাকাত দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড মো. হেলাল উদ্দিন, গাড়ি চালক মো. আনোয়ার হাকিম, সশস্ত্র সদস্য মো. আরিফ উল্লাহ এবং তথ্য দাতা মো. জিয়াবুল করিম ও মো. হোসেন উক্ত ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ডাকাতদলের অন্যান্য জড়িত সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তার ছয়জনকে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেনাসদস্য বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এলএম/কেএম)

মন্তব্য করুন