গুজব হটিয়ে রাষ্ট্র-সংস্কারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ডা. গোলাম মোস্তফা
  প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩১
অ- অ+

গত ৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কিছু আগে-পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে- বাংলাদেশে ২৬ লক্ষ ভারতীয় চাকরি করে। এর মধ্যে পুলিশে ৮০ হাজার ও অন্যান্য বাহিনীসহ সরকারি বেসরকারি মিলে কমপক্ষে মোট ২৬ লক্ষ ভারতীয় বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি করে। এটা যে পুরোপুরিই একটা গুজব তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখার দাবি রাখে। বুঝতে হবে বাংলাদেশ একটি ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশ। কানাডা, আমেরিকার মতো পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যারা অন্য দেশ থেকে লোক নিয়ে প্রায় সকল প্রকার চাকরিতে নিয়োগ দেয়। কারণ তাদের প্রয়োজনের তুলনায় লোকসংখ্যা নিতান্তই কম। অর্থাৎ তাদের দেশ একটি অভিবাসী দেশ। বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট সার্ভিসরুলের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি চাকুরির প্রধান শর্তই হলো প্রার্থীকে দেশের নাগরিক হতে হবে। কোনো বিদেশি নাগরিক আবেদন করতে পারবে এমন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আমি দেখিনি। পুলিশ লাইনে কনস্টেবল, এএসআই, এসআই নিয়োগ নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তি বা পুলিশ অফিসার পদে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সবকিছুই সার্ভিস রুলের আওতায় হয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় বিদেশি কোনো লোক নিয়োগ দেওয়া কি কোনোক্রমেই সম্ভব? অন্য সকল সরকারি চাকরিতে একই প্রক্রিয়ায় সার্ভিস রুলের আওতায় নিয়োগ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সব মিলিয়ে সরকারি চাকুরির পদ আছে ১৪ লাখ। এর মাঝে প্রায় ৩ লাখ পদ সব সময় খালি থাকে; অর্থাৎ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় থাকে।

এখন আসা যাক বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে। বিবিএস সূত্রানুসারে বাংলাদেশে গার্মেন্টসসহ সব শিল্প কারখানা মিলে বেসরকারি চাকুরিজীবীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ থেকে ৪৫ লাখ। ৩৭/৩৮ লাখ বাংলাদেশি গার্মেন্টস সেক্টরগুলোতে কাজ করে। যদি ৪৫ লাখের মাঝে ২৬ লাখ ভারতীয় লোক চাকরি করতো তবে এ শিল্প এলাকাগুলোতে দেশীয় কর্মীর সাথে প্রতি ২ জনে একজন পাওয়া যেত। যা অবশ্যই স্ব-স্ব এলাকায় যারা বসবাস করে তাদের নজরে পড়তো। এ ধরনের কোনো আলামত কারো নজরে পড়েছে কি না তা আমার জানা নেই। সরকারি হিসাবমতে বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ লক্ষ বিদেশি নাগরিক গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প-কারখানা এবং উচ্চশিক্ষা সেক্টরে কাজ করে থাকে।

ভারতীয় সূত্রমতে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভুত্থানের পর ভারত সরকার বাংলাদেশে অবস্থানরত ১৯ হাজার ভারতীয় নাগরিকের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেছিল। এর মধ্যে প্রায় ৯/১০ হাজার মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক; প্রায় দেড় হাজার দূতাবাস ও বিভিন্ন হাইকমিশন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাকিরা বিভিন্ন প্রজেক্ট, গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ১৬% (মোট বেকার ২৪%)। শিল্প মালিকদের বক্তব্য অনুসারে দুই আড়াই লাখ টাকা বেতন দিয়ে মাঝারি ও উচ্চপদগুলিতে ২/৩ বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও সাবজেক্ট অনুসারে স্পেসিফিক যোগ্যতা ও দক্ষতাসম্পন্ন লোক পাওয়া যায় না। যদি কখনো পাওয়া যায় তবে কয়েকদিন পরেই দেখা যায় তারা হয় অসৎ, লোভী, অলস, অমনযোগী, অমানবিক ও স্বার্থপর। অবৈধ পথে দ্রুত বড়োলোক হওয়ার প্রবণতা বেশি। কোনো না কোনো খারাপ অকারেন্সের কারণে তাকে চাকুরি থেকে বিদায় দিতে হয় বা নিজেই সরে যায়। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, চীন ইত্যাদি দেশের লোক নিয়োগ দিতে হয়। যা হয় দীর্ঘস্থায়ী ও লাভজনক।

এ অবস্থায় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার সাবজেক্টগত সীমাবদ্ধতা, নিম্নমান ও মানবিক গুণাবলি নিয়ে আমরা গভীরভাবে শঙ্কিত। অনেক প্রয়োজনীয় সাবজেক্ট আগে এদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে ছিল না। এখন অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এগুলো খুলেছে। কিন্তু প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ব্যাবহারিক জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটানোর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় নামেমাত্র উচ্চশিক্ষিত হচ্ছে। দক্ষতা অর্জনের জন্য কারিকুলামভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে নেই। সার্টিফিকেট অর্জনের ব্যবস্থা আছে মাত্র। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সকল শিক্ষায় মান উন্নয়নে রক্ত পরিবর্তন বা ডিএনএ চেঞ্জ-এর মতো সমূলে ধ্যান ধারণা, ভিশন ও সিস্টেম পরিবর্তন করে জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার গড়ে তুলতে হবে বলে আমার বিশ্বাস।

মানুষ সামাজিক জীব; তাই প্রচলিত সামাজিক রীতি-নীতি, মানবিকতা ও অন্যান্য বস্তুগত পরিবেশ ঐ সমাজ- অন্তর্গত প্রতিটি নাগরিকের মনে ও কাজে-কর্মে প্রকাশ পায়। নোংরা পরিবেশ নোংরা মন ও দেহ গঠন করে। তাই যোগ্যতা, দক্ষতা ও মানবিকতাসম্পন্ন নাগরিক তৈরি করতে যাপিত পরিবেশে আমূল পরিবর্তন করতে হবে। গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি। মিথ্যা গুজবে সাময়িক বিকৃত আনন্দলাভ হলেও এটা খুবই ক্ষণস্থায়ী। সত্য সূর্যের আলোর মতো, তা উপযুক্ত সময়ে প্রস্ফুটিত হবেই। সঠিক শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থাই পারে এই ব্যাধিগুলো দূর করতে। এবার পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে রাষ্ট্র-সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে- সে বিষয়ের সামাজিক সংস্কার ও ভাবনা প্রসঙ্গে কিছুটা আলোকপাত করতে চাই।

উন্নত দেশ বলতে আমরা কী বুঝি। আমার যে কয়টি উন্নত দেশ দেখার সুযোগ হয়েছে সে আলোকে বলতে গেলে- উন্নত দেশ হলো সেই দেশ যেখানে অর্থনৈতিকভাবে স্ব-নির্ভর, সুশৃংখল, নিরাপদ সাম্যতাভিত্তিক সমাজব্যবস্থা চালু রয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, বাজার, শপিংমল ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে আধুনিক ব্যবস্থাপনা; অর্থাৎ, সকল স্তরে ডিজিটাল প্রযুক্তিসম্পন্ন সমাজব্যবস্থা বিরাজমান এমন দেশই উন্নত দেশ বলতে বুঝি। একটু ব্যাখ্যা করে বিষয়গুলি খোলাশা করা যাক। উন্নত দেশগুলোতে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপন সুযোগ-সুবিধা দেশের সকল স্তরে সমভাবে বিদ্যমান। যেমন ঐ সমস্ত দেশে কৃষিব্যবস্থা আধুনিক যন্ত্রপাতি ও পদ্ধতিনির্ভর। গ্রামীণ এলাকায় হেক্টর-হেক্টর জমিতে ধান গম ভুট্টা খেত, পাশেই ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, সেচের আধুনিক ব্যবস্থা। ধান মাড়াইয়ের পর খড় আমাদের দেশের ডিবির মতো না, বরং বৃহৎ কাগজের বান্ডিলের মতো করে রাখা হয়- যা বৃষ্টি এবং পোকামাকড় ও ইঁদুর যেন কোনোভাবেই ক্ষতি করতে না পারে। সকল শস্য সংরক্ষণব্যবস্থা আধুনিক ও উন্নত মানের। জমিগুলি অনেক বড়ো বড়ো, অনেক কৃষকের জমি একত্রে সমবায়ভিত্তিতে চাষ হয়, আমাদের দেশে যেমন ইরি বুরো মৌসুমে সমবায়ভিত্তিতে খেতে পানি দেওয়া হয় সে রকম। গ্রামীণ বাজার রাস্তাঘাট বিপণন উপযোগী।

প্রতিটি গ্রামই একেকটি স্বনির্ভর শহর। বাড়িঘর যোগাযোগ ব্যবস্থাকেন্দ্রিক। জীবনযাপনের সকল আধুনিক ব্যবস্থাই গ্রামে বিদ্যমান। পরিষ্কার ঝকঝকে তকতকে বাড়িঘর রাস্তাঘাট, বাজার। প্যারিস কিংবা রোম শহরে বিরাজমান রাস্তাগুলো আমাদের ঢাকা শহরের চেয়ে বড়ো তা না, কিন্তু খুবই পরিষ্কার। সব রাস্তাই একমুখী। প্রতিটি রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা অটোমেটিক। ঐ দেশের বেশিরভাগ দালান-কোঠা খুবই আধুনিক কিন্তু অনেক পুরোনো। শত বছরের পুরোনো লিফট এখনো চালু আছে সেখানে। প্রায় প্রতিটি রাস্তার বাম পাশে সাদা দাগ দেওয়া আছে, এই দাগের পাশে খুবই সুশৃংলভাবে নিশ্চিন্তে দিনের পর দিন মাসের পর মাস গাড়ি রাখা যায়। কোনো ময়লা কোথাও নাই, গাড়িগুলো অনেকদিন থাকলেও গায়ে কোনো ময়লা দেখা যায় না। গাড়িগুলো রাখার মুল কারণ ঐ দেশে বেশিরভাগ বিল্ডিংয়ে কোনো গ্যারেজ নাই। বাংলাদেশের মতো রাস্তা দখল করে গাড়ি কেউ রাখে না। এটা ঐ দেশে স্বীকৃত ব্যবস্থা। প্রতিদিন কাজ শেষে ড্রাইভার গাড়ি রেখে নিশ্চিন্তে ঘরে চলে যায়। ফুটপাত জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত। বাংলাদেশের মতো রাস্তার পাশে দোকান দিয়ে খুঁটি দিয়ে ত্রিপল টানিয়ে ফুটপাতসহ রাস্তার অর্ধেক দখল করে চেয়ার বেঞ্চ ফেলে ব্যবসা করে না।

ফুটপাতে কমলা-মালটা, গাছে পাকা কমলা-মালটা ঝুলছে। জায়গায় জায়গায় ডাস্টবিন রাখা আছে, কেউ কোনো ময়লা রাস্তায় বা ফুটপাতে ফেলছে না। বাস, রেলস্টেশনসহ সকল জায়গায় অনলাইন টিকিট সিস্টেম। বাজার শপিংমলে প্রতিটা আম, কলা, আপেলসহ সকল পণ্যে এক্সপেয়ার তারিখ দেওয়া আছে, এগুলো আবার প্রতিদিন সকালে মনিটরিং হচ্ছে, পানিসহ প্রতিটি খাদ্যপণ্য ১০০% বিশুদ্ধ। বেশিরভাগ হোটেল ও শপিংমলে কার্ড পেমেন্ট। মোটকথা স্মার্ট পরিবেশ, স্মার্ট মার্কেট, স্মার্ট সিস্টেম। আধুনিক ইলেকট্রিক ট্রেন। সুসজ্জিত পার্ক, সাফারি পার্ক, মিউজিউয়াম। প্যারিস শহরের ভিতর কৃত্রিম ওয়াটার লাইন সারা শহর ঘুরে আইফেল টাওয়ারে শেষ হয়েছে, কয়েকমাস ঘুরেও এ শহরের দর্শনীয় স্থান শেষ করা যাবে না। সকল ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষিত। রোম শহরও একই রকম।

ফ্রান্সের ভার্সাই ও ইতালির ভেনিস যেন এক স্বর্গ নগরী। দেশের সকল নাগরিকের একটা কঠিন শৃঙ্খলাবোধ আছে এবং যা পৃথিবীর অন্য সকল উন্নত দেশের মতো। হঠাৎ করে বড়োলোক হওয়ার কোনো সংক্ষিপ্ত পথ ঐ সমস্ত দেশে নেই। কঠোর নিয়ম-কানুনের মধ্যে পরিশ্রম করে জীবন নির্বাহ করে সবাই। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। পৃথিবীর দেশে দেশে এই একই ধরনের মান ও ব্যবস্থাপনাসম্পন্ন সমাজব্যবস্থাই একটি দেশের আন্তর্জাতিকতা, সর্বোপরি একটি জাতির আন্তর্জাতিকতা।

এমন একটি স্মার্ট আন্তর্জাতিক দেশ ও জাতিতে পরিণত হওয়াই আমাদের সকলের কামনা ও সাধনা হওয়া উচিত। এমন সময় আসবে যেদিন আমার দেশের প্রতিটি গ্রাম হবে উন্নত সুযোগ সম্মলিত আধুনিক শহর। এজন্য আমাদের মিশন ও ভিশন পরিবর্তন করতে হবে। কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে আমাদের স্থানীয় সরকার- যেমন, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সকল ক্ষেত্র নিরাপদ করতে দুর্নীতিমুক্ত, হয়রানিমুক্ত দ্রুত রেস্পন্সিভ ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা আবশ্যক। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা ও কার্যক্রম আধুনিক ডিজিটাল ও স্মার্ট করতে হবে। রাস্তাঘাট নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। ফুটপাত সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলা, নির্মাণসামগ্রী রাস্তায় না রাখা, রাস্তা দখল না করা ইত্যাদি ব্যাপারে প্রচলিত আইনকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ ও কাচামাল, মরিচ, পিয়াজ, রসুন ফল, শাকসবজি সংরক্ষণের নামে মারাত্মক কেমিক্যালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। কলা, আপেল, কমলা, আনারস, আম, কাঠালসহ সকল প্রকার ফলের এক্সপেয়ার তারিখসহ প্রতিদিন সিল লাগানোর জন্য উন্নত দেশের কাচা বাজারব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন বিভাগ খুলে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। ভোক্তা অধিকার আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। আইন মানতে বাধ্য করতে হবে। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পারষ্পরিক সহমর্মিতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সর্বোপরি উন্নত শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক ডিজিটাল জাতি গড়তে হবে। মানুষের মনে মানবিকতা ও কঠোর শৃঙ্খলাবোধ জাগ্রত করতে হবে। তবেই আমাদের দেশ ও জাতি উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জাতিতে পরিগণিত হবে। আমি বলতে চাই, বর্তমানে যে রাষ্ট্র-সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে- এই রাষ্ট্র-সংস্কার যেন হয় প্রতিটি নাগরিকের উন্নত জীবনব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য। রাষ্ট্র-সংস্কার মানেই তো দেশের নাগরিকগণের জীবনযাপনের যত নেতিবাচক দিকসমূহ আছে তা ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যোমে নতুন আগামীর উন্নত পথের সন্ধান করা। বর্তমান সরকার যেন রাষ্ট্র-সংস্কার করতে গিয়ে এই বিষয়গুলোই অধিকতর গুরুত্বপ্রদান করে।

ডা. গোলাম মোস্তফা: লেখক ও চিকিৎসক

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রবাসী স্বামীকে বিদায় জানানো হলো না, বজ্রপাতে প্রাণ গেল গৃহবধূর
বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে এনসিপির সমাবেশে দুই গ্রুপের মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ২০০ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া গেল মুন্সীগঞ্জে, নিষ্ক্রিয় করল সিটিটিসি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা