রাজধানী ও সরকারব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ সময়ের দাবি

আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সার্বভৌমত্ব। বাংলাদেশের আয়তন ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭৩ বর্গ কি. মি.। এর প্রতি ইঞ্চি জায়গা সার্বভৌমত্বের আওতায় পড়ে। জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিরা প্রতিটি এলাকা সমহারে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয় বটে; কিন্তু ত্রুটিপুর্ণ শাসন ব্যবস্থার কারণে তাঁরা রাজধানীকেন্দ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মেনে নিতে বাধ্য হন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রতিটি বিভাগের প্রধান কার্যালয় ঢাকা শহরে অবস্থিত। বড়ো বড়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো ঢাকায় অবস্থিত। ঢাকা অচল হয়ে যাওয়া মানে সমগ্র দেশ অচল হয়ে যাওয়া। ঢাকার পতন মানে সরকারের পতন। একই কারণে রাজনীতিও ঢাকাকেন্দ্রিক। ঢাকা শহরে প্রবেশের জন্য কতগুলো প্রধান সড়ক রয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলন দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়। ঢাকাকে উপলক্ষ্য করে বড়ো বড়ো রাস্তা, রেললাইন, সড়কসেতু, রেলসেতু নির্মাণ করা হয়। ফলে দেখা যায় সমগ্র দেশটি ঢাকামুখী। ঢাকামুখী জনস্রোতকে ঠেকানোর জন্য বিকেন্দ্রীকরণ নীতি গ্রহণ না করে ঢাকাকে বাসযোগ্য করার জন্য নানারকম মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যেমন- মেট্রোরেল, উড়ালসেতু, ব্লকভিত্তিক আবাসন প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ইত্যাদি।
সরকারি পরিসংখ্যানে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ দেখানো হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে ঢাকা শহরে জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি হলে ১৮ শতাংশ মানুষ ঢাকা শহরে বাস করে। জনসংখ্যার অধিক ঘনত্বের কারণে সামান্য অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে। বিল্ডিং ধসে গেলে চাপাপড়া মানুষদের উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। সম্প্রতি সরকারবিরোধী আন্দোলনে (১৬ই জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারদলীয় ক্যাডারদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে শুধু ঢাকা শহরে ৬৫০-এর অধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে। নিহতদের তালিকায় রয়েছে শিশু, ছাত্রছাত্রী, পথচারী, ব্যবসায়ীসহ নিরীহ মানুষ। আহত হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ- যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক (এখানে উল্লেখ্য, ঘনবসতির কারণে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ যদি ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাহলে সেই গুলিও কারো না কারোর বাড়ির জানালা-দরজায় আঘাত করবে)। ৫ই আগস্ট বিক্ষোভরত ছাত্র-জনতা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এ যেন প্রাচীন যুগের রাজার দুর্গ দখলের মতো।
ইউরোপের নগররাষ্ট্রের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, দুর্গের ভিতর রাজপ্রাসাদ ছিল। তাছাড়া অভিজাত শ্রেণি, সৈন্য বাহিনী, রাজ কর্মচারী, দাসরা থাকতো প্রাচীর ঘেরা নগরে। দাসরা দুর্গের বাইরে চাষাবাদ করতো। তবে সৈন্যরা তাদের তেমন নিরাপত্তা দিতো না। নগর দখল ছাড়া রাজ্য দখল হতো না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সরকার পরিবর্তনের নিয়ম থাকলেও অনুন্নত বিশ্বের সরকারগুলো ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। দেখা দেয় আন্দোলন। আন্দোলন সমগ্র দেশব্যাপী হলেও রাজধানী দখল করতে না পারলে সরকারের পতন হয় না। আন্দোলন যেহেতু রাজধানীকেন্দ্রিক থাকে, সে কারণে তৃণমূল জনগোষ্ঠী তথা সকল শ্রেণিপেশার মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটে না। সে কারণে ৫ই আগস্ট সরকার পতনের আন্দোলনকে কেউ বিপ্লব বলছেন, কেউ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান বলছেন, কেউ-বা দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলছেন। লক্ষণীয় সরকার পরিবর্তনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসুচি দেওয়া হচ্ছে; কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের ডিজাইনকে সামনে করে আন্দোলন করা হয়নি। অর্থাৎ আন্দোলনকারীদের কাছে কোটা সংস্কারটি মুখ্য ছিল।
স্বাধীনতার পর প্রণীত সংবিধানে এককেন্দ্রিক সরকারের কথা বলা আছে। সংবিধানে ইংরেজিতে লোকাল গভার্নমেন্ট কথাটি লেখা থাকলেও বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে স্থানীয় শাসন (স্থানীয় সরকার বাক্যটির ব্যবহার বিধিসম্মত নয়)। বাকশাল ব্যবস্থায় ডিস্ট্রিক্ট গভার্নমেন্ট ব্যবস্থার কথা বলা থাকলেও সেটাকে গণতান্ত্রিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ বলা যায় না। সেটা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাহী বিভাগের বর্ধিত হাত। একইভাবে এরশাদ সরকারের উপজেলা ব্যবস্থাকেও গণতান্ত্রিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ বলা যায় না। তবে উপজেলাকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায়, কেন্দ্রীয় সরকারের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অফিসগুলো এক জায়গায় হওয়ায় এবং উপজেলা আদালত ব্যবস্থা চালু হওয়ায় স্থানীয় জনগণ বেশ উপকৃত হতে থাকে। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে উপজেলা ব্যবস্থা বাতিল করে এবং আদালতগুলোকে জেলা শহরে নিয়ে আসে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উপজেলা ব্যবস্থা চালু করে কিন্তু প্রায় সকল ক্ষমতা উপজেলা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত করে। সেজন্য বলা হয়, সামরিক সরকারগুলো ক্ষমতায় এসে স্থানীয় সরকারের হাতে যতটুকু ক্ষমতা দেয়, নির্বাচিত সরকারগুলো ক্ষমতায় এসে সেটুকু কেড়ে নেয়। তারা হয়তো বিকেন্দ্রীভূত সরকারকে ভয় পায়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে স্থানীয় সরকারকে লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নানারকম ফন্দিফিকির শুরু করে। তারা দলীয় মনোনয়ন দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, মেয়র/চেয়ারম্যানদের দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। ফলে বিরোধী দলীয় প্রার্থীরাই শুধু নয়, স্বতন্ত্র মতের লোকেরাও নির্বাচন থেকে দুরে সরে যান। অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ না হওয়ায় জাতীয় সংসদ কর্মমুখর পরিবেশ হারায়। ফলে রাষ্ট্রের বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় সিন্ডিকেটের আওতায় চলে যায়। জন্ম ঘটে নয়া ফ্যাসিবাদী শাসনের। তবে আশার কথা, বর্তমানে সকল মহল থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলা শুরু হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠন করেছে। তবে মৌলিক দুটি কমিশন তথা অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন ও শিক্ষা কমিশন এখনো গঠিত হয়নি। তবে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, প্রয়োজনে আরও কমিশন গঠন করা হবে। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক জিয়া ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তাঁর দল ক্ষমতায় গেলে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন করবে। কিন্তু একাধিক সরকার ব্যবস্থা এবং স্বশাসিত স্থানীয় সরকারের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট দিক নির্দেশনা দেননি। সিডিএলজির পক্ষে আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ বলে আসছি দুই প্রকারের সরকার ব্যবস্থাই সমাধান দিতে পারে । তাহলো কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। জেলা সরকার হবে স্থানীয় সরকারগুলোর সর্বোচ্চ স্তর। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে শুধু জেলা সরকারের সম্পর্ক থাকবে। জেলা সরকার এককভাবে এক হাতে নগর সরকারগুলো ও অন্য হাতে গ্রামীণ স্থানীয় সরকারগুলো তদারক করবে। জেলার ভৌগোলিক ইউনিট থেকে প্রতিনিধি নিয়ে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করতে হবে। তার আগে নগরায়ণমুখী বাংলাদেশের বাস্তবতা মেনে স্থানীয় সরকারগুলোর স্তর বিন্যাস করতে হবে। জেলা সরকারের তিনটি বিভাগ থাকবে- তথা জেলা সংসদ, জেলা প্রশাসন ও জেলা বিচার বিভাগ। একজন জেলা ন্যায়পাল থাকবেন। তাছাড়া একটি স্বাধীন জেলা নির্বাচন কমিশন থাকবে। একইরূপে উপজেলা সরকার (যদি এটির প্রয়োজনীয়তা থাকে), নগর সরকার ও ইউনিয়ন সরকার গঠন করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের আইন বিভাগে ও স্থানীয় সরকারের আইন বিভাগে ১০০:১০০ হারে নর-নারীর নির্বাচিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে এখন ছোটো-বড়ো প্রায় দুই হাজার হাট-বাজার রয়েছে। কৃষি জমিকে রক্ষা করার জন্য, পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য এসব হাট-বাজারকেন্দ্রিক নগর গড়ে তুলতে হবে। এসব নগরে কর্মসংস্থানের জন্য শিল্প-কারখানা, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান, বিনোদনের জন্য উপযুক্ত খেলার মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করতে হবে। তাহলে শ্রমজীবী মানুষেরা তাদের স্থানীয়তাকে পরিত্যাগ করে রাজধানী শহরে, বিভাগীয় শহরে ও জেলা শহরে কর্মের জন্য ভিড় করবে না। তাছাড়া জেলা সরকার ব্যবস্থা চালু হলে ছোটো ছোটো বহু দল জেলাকেন্দ্রিক রাজনীতি ও তাদের কর্মসুচি বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ভারসাম্য সৃষ্টি হবে (পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত উদাহরণ হতে পারে)।
আমাদের মতো ছোটো বেশ কয়েকটি দেশে একাধিক রাজধানী আছে। চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও বাস্তবে সেটার কার্যকারিতা দেখা যায় না। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাটোরের দিঘাপাতিয়ার রাজা প্রমদানাথ রায়ের রাজবাড়িকে উত্তরা গণভবন নামকরণ করেন- যা ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র অফিস ও বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। নাটোরবাসী এখানে মন্ত্রিপরিষদের অধিবেশন করার জন্য বারবার দাবি করে আসছেন। তবে এরশাদ সরকার একবার ও ১৯৯৬ সালে হাসিনা সরকার একবার মন্ত্রিপরিষদের অধিবেশন করেছিলেন এখানে।
ছোটো দেশ অথচ একাধিক রাজধানী এরকম ১০টি দেশ রয়েছে। যেমন- শ্রীলঙ্কার রাজধানী দুটি; কলম্বো ও শ্রীজয়াবর্ধনেপুরা কোট্টে। দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী শহর তিনটি; কেপটাউন, ব্লমফেন্টেন ও প্রিটোরিয়া; কেপটাউন আইনসভার রাজধানী। ব্লুমফেন্টেন বিচার বিভাগ এবং প্রিটোরিয়া বিচার বিভাগের রাজধানী। মালয়েশিয়ার রাজধানী দুটি; কুয়ালালামপুর ও পুত্রজায়া। কুয়ালালামপুর হলো রাজধানী শহর ও পুত্রজায়া হলো ফেডারেল সরকারের রাজধানী। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দুটি; আমস্টারডাম ও দ্য হেগ। সংবিধান অনুযায়ী রাজধানী আমস্টারডাম হলেও হেগ শহরে শীর্ষ আদালত থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের সকল অফিস এ শহরে অবস্থিত। রাজপরিবারের বাসও এ শহরে। ইউরোপের ছোটো দেশ মন্টিনেগ্রোর রাজধানী শহর দুটি; পোডরিকা ও সেটিঞ্জে। পোডরিকা নতুন রাজধানী এবং সেটিঞ্জে পুরাতন রাজধানী। বলিভিয়ার রাজধানী দুটি; লা পাজ ও সুক্রে। লা পাজ হলো প্রশাসনিক রাজধানী এবং আইনসভা ও বিচার বিভাগীয় রাজধানী সুক্রে। আফ্রিকার দরিদ্র দেশ ইসোয়াতিনি (সোয়াজিল্যান্ড)-এর রাজধানী দুটি; এমবাবানে ও লোবাম্বা। এমবাবানে হলো প্রশাসনিক রাজধানি এবং লোবাম্বা হলো আইনসভার রাজধানী। চিলির রাজধানী দুটি; সান্তিয়াগো ও ভালপারাইসোত। সান্তিয়াগো বৃহত্তম শহর এবং পারাইসোত হলো আইনসভার রাজধানী। পশ্চিম আফ্রিকার ছোটো দেশ বেনিন। রাজধানীর দুটি; পোর্টোনোভো ও কোটেনা। পোর্টোনোভা হলো প্রশাসনিক রাজধানী এবং কোটেনা হলো বিচার বিভাগীয় রাজধানী। জর্জিয়ার রাজধানী দুটি; তিবলিসি ও কুতাইসি। কাজেই আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, ভূমিরূপ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে সরকার কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ও জেলা সরকার ব্যবস্থা বাস্তবসম্মত এবং বাস্তবায়নযোগ্য। তাছাড়া আমরা যদি সর্বস্তরে গণতন্ত্র বাস্তবায়ন চাই, তাহলে স্থানীয় সরকারগুলোকে প্রজাতান্ত্রিক রূপ দিয়ে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই।মোশাররফ হোসেন মুসা: কলাম লেখক এবং গণতন্ত্রায়ন ও গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার বিষয়ক গবেষক

মন্তব্য করুন