ছাত্র জনতার ওপর হামলা

রূপনগর থানা আ.লীগের সহ-সভাপতি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, ৯২টি গুলি ব্যবহারের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:৩৮ | প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫২

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার ওপর হামলার অভিযোগে রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গফুর মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে রূপনগর থানা পুলিশ।

বুধবার রাতে আ.লীগের এই নেতাকে তার রূপনগরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার হেফাজতে থাকা একটি শটগান, ৮টি অক্ষত গুলি এবং একটি ব্যবহৃত কার্তুজ জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান।

ডিসি মাকছেদুর বলেন, ‘মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে মিরপুর-১০, পল্লবী প্রশিকার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়। গত ২০ জুলাই বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে মিরপুর-১০ সংলগ্ন প্রশিকার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপরে এ হামলায় শামীম হাওলাদার নামে একজন ব্যক্তি গুলিবদ্ধ হয়ে মারা যান।’

‘ওই ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই সম্রাট হাওলাদার রূপনগর থানায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় পাওয়া ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে বুধবার রাতে তার নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়’ ডিসি মিরপুর।

গফুর মোল্লা নিজের নামে লাইসেন্সকৃত শটগানের জন্য ২০০১ সালে ৫০টি, ২০০৬ সালে ২৫টি এবং ২০১৩ সালে ২৫টিসহ মোট ১০০টি গুলি কেনেন। রূপনগর থানা পুলিশ তার কাছে থেকে একটি শটগান, ৮টি অক্ষত গুলি এবং একটি ব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করে। বাকি ৯২টি গুলির বিষয়ে তিনি সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেননি এবং তিনি গুলি ব্যবহার বা হারানো সংক্রান্ত কোনো জিডি করেননি।

তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গফুর মোল্লা জানান, ৯২টি গুলি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যবহার করেছেন।

এছাড়াও পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১০ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছে প্রধান সড়কের ওপর গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপরে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়। এ হামলায় ইমন হোসেন আকাশ নিহত হয়।

এ ঘটনায় নিহতের মা পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ডিসি মাকছেদুর জানান, গফুর মোল্লা এই মামলাতেও এজাহারভুক্ত আসামি।

(ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/এলএম/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :