দেশে নয় মাসে বজ্রপাতে ২৯৭ জনের প্রাণহানি
দেশে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে বজ্রপাতে মোট ২৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৭৩ জন। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে তিন জেলা— ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট ও হবিগঞ্জে। এসব জেলায় ১৩ জন করে মারা গেছে।
শনিবার ‘সেভ দ্য সোসাইটি এন্ড থাণ্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের’- সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো রাশিম মোল্লা, গবেষণা সেলের প্রধান নির্বাহী আবদুল আলীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ও আইন উপদেষ্টা এডভোকেট ফারুক হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, দেশের জাতীয় এবং আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা, কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশনের স্ক্রল থেকে বজ্রপাতে হতাহতের সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
মারা যাওয়া মোট ২৯৭ জনের মধ্যে ১১ জন শিশু, ৫৫ জন নারী রয়েছে। নারীর মধ্যে ৬ জন কিশোরী। এছাড়া মোট মৃত্যুর মধ্যে ২৪২ জনই রয়েছে পুরুষ। পুরুষের মধ্যে কিশোরের সংখ্যা ১৭ জন। শুধু কৃষি কাজের সময় বজ্রপাতে ১৫২ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গরু আনতে গিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সবচেয়ে বেশি মারা গেছে কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত খেটে খাওয়া মানুষ। বজ্রপাত থেকে মানুষের জীবন রক্ষায় একাধিক মন্ত্রণালয় বড় বড় প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা শুনে আসছি। কিন্তু সেগুলোর কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। শুধু সচেতনতার অভাবেই বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। কিন্তু সরকারে পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকরী সচেতনতামূলক কার্যক্রম চোখে পড়ছে না বলে মনে করছেন তিনি।
মৃত্যু কমাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি প্রকাশ করা হয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বলেন, দফাগুলো হলো-
১) পাঠ্যপুস্তকে বজ্রপাত সচেতনতার অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা
২) ৩০ মিনিট আগেই বজ্রপাতের পূর্বাভাস জানা যায়, তথ্য বাতায়ন গভ ইনফো’র মাধ্যমে তা জানানো
৩) কৃষকসহ জনসাধারণের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ৪) মাঠে মাঠে শেল্টার সেন্টার স্থাপন
৫) আহতদের ফ্রি চিকিৎসাসেবা প্রদান করা(ঢাকাটাইমস/০৫অক্টোবর/এমআর)