মেঘনায় নৌপুলিশের অভিযান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ড্রেজার জব্দ

নৌপথ শতভাগ নিরাপদ রাখতে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ। অভিযানকালে নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার সময় একটি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালে একটি ড্রেজার ও এক হাজার বর্গমিটারের একটি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
সোমবার সকালে ফাঁড়ির এসআই মোমেন ভূঁইয়া (নিরস্ত্র) এ তথ্য জানিয়েছেন।
এসআই মোমেন ভূঁইয়া জানান, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের রামপ্রসাদের চর এলাকায় মেঘনা নদীতে কে বা কারা ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল। খবর পেয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ আজামগীর হোসাইনের নির্দেশনায় তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গেলে বালু উত্তোলনকারীরা টের পেয়ে ড্রেজার রেখে পালিয়ে যায়। পরে ড্রেজারটি সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় এএসআই শেখ মোহাম্মদ মইন উদ্দিন (নিরস্ত্র) বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এজাহার দাখিল করেন।
এসআই মোমেন আরও জানান, একই সময় ওই এলাকা থেকে একটি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার বর্তমান বাজার মূল্য ছয় হাজার টাকা।
তিনি বলেন, মামলার আলামত ফাঁড়ির হেফাজতে আছে এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে উদ্ধারকৃত অবৈধ কারেন্ট জালটি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এ বিষয়ে চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজামগীর হোসাইন এ প্রতিনিধিকে বলেন, “নৌপথে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করাই আমার লক্ষ্য। ইতিমধ্যে আমি নদীপথে আমার ফোর্স নিয়ে নৌটহল জোরদার করেছি। নৌপথে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। তবে আমার অধীনস্থ এলাকায় নদীপথের কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার সংবাদ পেলে আমরা অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এমনকি ভবিষ্যতে নৌপথে কোনো ধরনের অপরাধ হতে দেবেন না বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/এফএ)

মন্তব্য করুন