পরীক্ষার্থী ২ জন, পাস করতে পারেননি কেউ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার ফকিরহাট মহিলা কলেজ থেকে টানা দুই বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।
বুধবার সকালে কলেজ সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা নিয়ে ২০০০ সালে চালু করা হয় জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার ফকিরহাট মহিলা কলেজ। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থেকে প্রতিষ্ঠানটি আবারও ২০১৬ সালে চালু করা হয়। সর্বশেষ এই কলেজ থেকে ২০২৪ সালে দুজন পরীক্ষার্থী অংশ নেন এবং দুজনই ফেল করেন।
এর আগে ২০২৩ সালেও একই কলেজ থেকে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও ফেল করেছেন।
ফকিরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবার রশিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এই কলেজ থেকে দুজন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তারা দুজনেই ফেল করেছেন। তারা দুজনই মানবিক বিভাগের। তাদের মধ্যে একজন নিয়মিত এবং একজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন।
টানা দুইবার পরীক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হওয়া প্রশ্নে তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থী ফেল করার বড় কারণ প্রতিষ্ঠাতার ব্যাপক দুর্নীতি। প্রতিষ্ঠাতার দুর্নীতির কারণে কলেজটি বন্ধ থাকে।তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী ভর্তি করবেন কিভাবে? কলেজ তো বন্ধ করেছে। কয়েক বছর আগে শতভাগই পাস করতো। ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষক ছিলেন, এখন অনেকেই আসেন না। দুর্নীতির বিষয়ে কয়েক দফায় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। কোনো প্রতিকার মেলেনি। কর্মচারীরা অভিযোগ দিয়েছেন, জমিদাতারাও অভিযোগ করেছেন। কেন কাজ হয়নি। এভাবে থাকতে থাকতে একসময় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, এই প্রতিষ্ঠান হতে আগামী ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/১৬অক্টোবর/এসএ)

মন্তব্য করুন