বিএনপিকে কার্যকর ভূমিকার বাইরে রাখলে ফ্যাসিবাদ আবার সামনে আসবে: দুদু

বিএনপিকে কার্যকর ভূমিকার বাইরে রাখলে ফ্যাসিবাদ আবার সামনে আসবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, যারা এটা করছেন, তাদের আমি সতর্ক করব। বিএনপিকে যদি কার্যকর ভূমিকার বাইরে নিয়ে যেতে চান, তাহলে ফ্যাসিবাদ সামনে আসবে। বিএনপিকে যদি রুখতে চান, তাহলে কার্যকরভাবে ফ্যাসিবাদকে অভিনন্দন জানাতে হবে। এ জন্য বলেছি, এ দেশের অন্য যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমান আগামীতে পথ চলতে চান।
রবিবার সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের’ উদ্যোগে ‘জাতীয় নির্বাচন, নাগরিক ভাবনা ও জাতীয় সংলাপ’- শীর্ষক আলোচনা সভায় দুদু এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রধান যিনি ছিলেন তিনি হলেন শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়েছেন, তার মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা পালিয়েছেন। কিন্তু তার কর্মীরা যারা প্রশাসনে ছিলেন তারা সেভাবেই আছেন, সচিবরা সেভাবে আছেন। আমার দেখা মতে, দুদকেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। শেখ হাসিনা যেখানে যেভাবে সেটাপ করেছেন, সেভাবেই আছে। আগের সরকার এবং বর্তমান সরকারের মধ্যে একটা পার্থক্য থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদ এবং গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আগের সরকার ছিল ফ্যাসিবাদ আর বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক।
দুদু বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে সিন্ডিকেট, আগের সেই সিন্ডিকেটই আছে। তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে। তাহলে পরিবর্তন হলো কোথায়? এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এখানে কোনো সিন্ডিকেট থাকা যাবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা এ সরকারকে সমর্থন দিয়েছি ভালো কাজ করার জন্য। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার জন্য, যেখানে যা সংস্কার করা দরকার করতে হবে। তবে সেটা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
দুদু বলেন, রাজনৈতিক নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো ভালো কাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে বলে মনে হয় না। বর্তমান সরকারের যারা আছেন তারা বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ, একটা ভালো কাজের জন্য তারা এসেছেন। তাদের আমরা নির্বাচনের কথা বলেছি। তার মানে এই নয় যে, কালই নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্টকরণ করতে হবে, যে কারণে আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপের কথা বলেছি।
সংগঠনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান
(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/জেবি/ইএস)

মন্তব্য করুন