ভাসানচরে গেল আরও ৫০৬ রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে আরও ৫০৬ জন রোহিঙ্গাকে। তাদের সঙ্গে একই যাত্রায় ভাসানচরে ফিরে গেছেন ৪০৬ জন রোহিঙ্গা, যারা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পে বেড়াতে এসেছিলেন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রোহিঙ্গাদের এই বহর ভাসানচর পৌঁছায়। এর আগে সকাল ৭টা ৪৫মিনিটে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে জাহাজ বানৌজা টুনা, বানৌজা তিমি ও বানৌজা ডলফিন ভাসানচরের উদ্দেশে মোট ৯১২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে রওনা করে।
জানা গেছে, রাতে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে আনা হয়। পরে সকাল পৌনে ৮টার দিকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের তিনটি জাহাজে তোলা হয়। এর মধ্যে বানৌজা টুনাতে ১১৫ জন পুরুষ, ৮২ জন নারী ও ১০৫ শিশু; বানৌজা তিমিতে ৭৭ জন পুরুষ, ৮৬ জন নারী ও ১৩৭ শিশু এবং বানৌজা ডলফিনে ৮৯ জন পুরুষ, ৯৫ জন নারী ও ১২৬ জন শিশু ছিল।
এ ছাড়া তিনটি জাহাজে ৬টি মেডিক্যাল টিম, ২ জন মেডিক্যাল অফিসার, ৩ জন এনএসআই ও ১৪ জন রেডক্রিসেন্ট সদস্য ছিলেন।
সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা স্থানান্তরের ২৫তম ধাপে ৫০৬ রোহিঙ্গা নাগরিক ভাসানচর প্রকল্পে গেল। এ ছাড়া ‘গো অ্যান্ড ভিজিট’ মাধ্যমে পুরনো ৪০৬ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর জানান, এ ধাপে নতুন করে আরও ৫০৬ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু রোহিঙ্গাকে ভাসানচর আনা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় ভাসানচর ক্যাম্প থেকে ভেড়াতে যাওয়ায় আরও ৪০৬ জন রোহিঙ্গা নতুনদের সাথে ভাসানচর ফিরে এসেছেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে বাস্তুচ্যূত এবং তাদের হত্যা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয় অন্তত ১১ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের একটি অংশকে স্থানান্তরের জন্য সরকার ভাসানচরে গড়ে তোলে আশ্রয়ন প্রকল্প, যেখানে এক লাখের বেশি মানুষের ঠাঁই হবে।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। এরপর ২৪ দফায় প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয় সেখানে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গেল ৫০৬ জন।
(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/মোআ)

মন্তব্য করুন