হুমায়ূন আহমেদ নেই, হুমায়ূন আহমেদ আছেন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯
অ- অ+

বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি মহাপুরুষ হুমায়ূন আহমেদ। দেশের নাট্য এবং চলচ্চিত্র জগতেও তার অসামান্য অবদান। বহু নাটক এবং বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র তিনি নির্মাণ করেছেন। অসাধারণ লেখনি ও নির্মাণশৈলী দিয়ে বইপ্রেমী এবং নাটক-সিনেমাপ্রেমীদের মনে গেড়েছেন স্থায়ী আসন।

আজ (বুধবার) সেই কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতার জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর তার জন্ম নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে। তার বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ।

প্রতি বছরই প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে সকাল থেকে তার হাতেগড়া নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় ভিড় করতে শুরু করেন ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা। ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করেন জনপ্রিয় এই লেখক-নির্মাতাকে।

দিনটি উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং এতিমদের খাবার বিতরণসহ নেওয়া হয় নানা কর্মসূচি। এবারও হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার ভক্তরা নুহাশ পল্লীতে যেতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমু ও নীল শাড়ি পরে রুপা সেজে হিমু পরিবহনের সদস্যরাও হাজির হচ্ছেন দলে দলে। এরপর লেখকের কবরে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।

১৯৭৩ সালে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন হুমায়ূন আহমেদ। পরের বছর যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে।

কিন্তু লেখালেখিতে পূর্ণ মনোযোগ দিতে একসময় চাকরি ছেড়ে দেন কিংবদন্তি এই সাহিত্যিক। নাটক নির্মাণে আসেন ১৯৮৩ সালে। ওই সময় বিটিভিতে প্রচারিত হয় তার পরিচালনায় প্রথম নাটক ‘প্রথম প্রহর’।

হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রথম সিনেমা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’। কর্মজীবনে ‘একুশে পদক’, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ ও ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’সহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন কিংবদন্তি এই কথাসাহিত্যিক এবং নির্মাতা।

সাহিত্য ও অভিনয় জগতের এই মহাপুরুষ না ফেরার দেশে চলে গেছেন দীর্ঘ ১২টি বছর হয়ে গেল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। বহুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোকে ছেয়ে যায় গোটা সাহিত্য ও বিনোদন জগৎ।

মৃত্যুর ১২ বছর পর আজও লাখো পাঠকের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। এখনো একুশে বইমেলায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইয়ের তালিকায় হুমায়ূন আহমেদ থাকেন উপরের সারিতে। তার নির্মিত অসংখ্য শিক্ষামূলক নাটক এখনো সমানভাবে বিনোদন দেয় দর্শকদের।

এছাড়া হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘ঘেটুপত্র কমলা’ এখনো লাখো সিনেপ্রেমীর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। তাই বলাই বাহুল্য যে, হুমায়ূন আহমেদ নেই, আবার হুমায়ূন আহমেদ আছেন।

(ঢাকা টাইমস/১৩নভেম্বর/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা