পলিথিন কারখানায় অভিযান: খবর পেয়ে তালা ঝুলিয়ে পালালেন মালিকরা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৪| আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫৬
অ- অ+

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের একটি টিম রাজধানীর চকবাজারের কামালবাগ এলাকায় অবৈধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নেয়। অভিযানে টিমটিকে সহযোগিতা করতে সঙ্গে ছিল পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‍্যাব। তবে আগেভাগেই অভিযানের খবর পেয়ে কারখানা তালা মেরে সটকে পড়েছেন মালিকরা। পরে তালা ভেঙে পলিথিন তৈরির বিপুল কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে অভিযান দলটি রাজধানীর চকবাজারের কামালবাগ এলাকায় তিন তলা বিশিষ্ট একটা ভবনের সামনে পৌঁছায়। দলটির কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো এই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় পলিথিন তৈরির একটি কারখানা রয়েছে।

তথ্য মতো ভবনে প্রবেশ করে অভিযান দলটি দেখে কারখানার তালা ঝোলানো।এছাড়া পলিথিন কারখানাটির সাইনবোর্ড আগে থেকে সরানো হয়েছে। পরে কোনো উপায় না পেয়ে অভিযান দলটি কারখানার প্রবেশের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।

ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায় এ যেন পলিথিন তৈরির এক বিশাল রাজ্য। কারখানাটির ভেতরে সারিবদ্ধ রয়েছে উন্নত মানের বিদেশি পলিথিন তৈরির মেশিন। আরেকটু ভেতরে যেতে দেখা যায় ৪০ থেকে ৫০ বস্তা পলিথিন তৈরির কাঁচামাল পড়ে রয়েছে কারখানাটিতে। এছাড়া তৈরি করা অবস্থায় রয়েছে হাজার হাজার পলিথিনের ব্যাগ। তবে কারখানার ভেতরে কোনো কর্মী বা কারোই কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। দেখলে মনে হয় এজন্য বেওয়ারিশ কোনো কারখানা।

আভিযানিক দলটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর আগে তারা পাইকারি কিংবা খুচরা পলিথিন বিক্রেতাদের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু আজকের অভিযানটি অনেক বড়। সরাসরি পলিথিন তৈরির সঙ্গে জড়িত কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে তাদের এই অভিযানের কথা আগে জানতে পেরে যায় কারখানার মালিক কর্তৃপক্ষ। তাই তারা কারখানা তালা দিয়ে কর্মীদেরসহ পালিয়ে গেছেন।

অভিযানে আরও দেখা যায়, পলিথিন তৈরির প্রথম কারখানাটিতে অভিযান শেষে সেটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এরপর কামালবাগ এলাকায় আরও তিনটি পলিথিন তৈরির বড় কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথম কারখানাটির মতো ওই তিন কারখানাটির মালিকও অভিযানের খবর পেয়ে আগেভাগে কারখানায় তালা দিয়ে চলে যান। সেই কারখানাগুলোতেও পলিথিন তৈরির বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল পাওয়া যায়। তৈরিকৃত অবস্থায় হাজার হাজার পলিথিন পাওয়া যায়। এসব মালামাল ও পলিথিন জব্দ করা হয় এবং কারখানা তিনটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয় প্রথম কারখানাটির মতো। এছাড়া চারটি পলিথিন কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় যাতে করে তারা পরবর্তীতে পুনরায় কারখানা চালু না করতে পারে।

অভিযান শেষে অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বেগম রুবিনা ফেরদৌসী বলেন, আমরা চকবাজারের কামালবাগ এলাকায় চারটি পলিথিন ব্যাগ তৈরি করার কারখানাতে অভিযান পরিচালনা করি। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের অভিযানের খবর আগেই পেয়ে যায়। তারা অভিযানের খবর পেয়ে কারখানাগুলোকে তালা দিয়ে চলে যায়। পরে আমরা তালা ভেঙে কারখানাগুলোর ভেতরে প্রবেশ করি। পলিথিন তৈরিতে কাঁচাম মালামাল জব্দ করি। এছাড়া কারখানাগুলোকে সিলগালা করে দিই। বর্তমান সরকার পলিথিনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন এর উৎপাদন বন্ধ করতে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। (ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/এলএম)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পার্বত্য অঞ্চলকে পাশ কাটিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চায় বিএনপি: আমিনুল হক
জ্যামাইকা টেস্ট: অস্বস্তি নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশ
সোনার দাম ভরিতে কমল ১৪৮১ টাকা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা