ভূমি উপদেষ্টার ছেলের বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রীর নারী নির্যাতন মামলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের ছেলে মোয়াজ আরিফের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার সাবেক স্ত্রী নীলা ইসরাফিল।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এ মামলা করেন তিনি।
রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘নারী নির্যাতন আইনে মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগী। পুলিশ এখন মামলা তদন্ত করবে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
যা বলছেন বাদী নীলা
মামলা গ্রহণের আগে রমনা থানার সামনে নীলা সাংবাদিকদের বলেন, মুয়াজ আরিফের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছয় বছরের। আমি গতকাল (রবিবার) রাত থেকে এই থানায় অবস্থান করছি৷পুলিশ মামলা নিচ্ছিল না। বাদীর ভাষ্য, গত ২৯ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে নিয়ে তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছেন মুয়াজ। সাবেক স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাকে সেক্সুয়ালি হ্যারাসমেন্ট, ব্যাড টাচ করেছেন। পেটে চাকু মেরেছেন। মাথায় আঘাত করেছেন।
নীলা বলেন, মোয়াজের সঙ্গে আমার বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। আমার অজান্তে আদালতের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল সে আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠায়। যা আমার পরিবারের কেউ অবহিত ছিল না।
সে মাদকাসক্ত থাকায় ডিভোর্সের পরও আমার ওপর সবসময় অনধিকার চর্চার চেষ্টা করেছে। ঢাকা ক্লাবে কেন দেখা করতে গেলেন— জানতে চাইলে নীলা বলেন, আমি মুসলিম আইন অনুযায়ী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাইনি। মাঝেমধ্যে দেখা করার অধিকার আমার আছে। আমার বড় বাচ্চা মানসিকভাবে অসুস্থ। সাইকিয়াট্রিস্ট বলেছেন তার সুস্থতার জন্য পারিবারিক আবহ দরকার। সেজন্য সুইমিং করাতে ঢাকা ক্লাবে যাই। ‘সেখানে আমার সাবেক স্বামী মোয়াজ তার এক বন্ধুর টোকেনে মেয়েকে সুইমিংয়ের ব্যবস্থা করে দেয়। আর হোটেলে রুম বুকিং করে। আমাকে সেই রুমে নিতে প্ররোচিত করে। আমি যেতে আগ্রহী ছিলাম না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কাল রাত (শনিবার) থেকে আমি থানায়। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ যখন দেখে অভিযুক্ত ব্যক্তি মোয়াজ আরিফ উপদেষ্টা হাসান আরিফের ছেলে, তখন সবাই উঠে চলে যায়। মামলা নেয়নি। সকালেও নেয়নি।
যদিও সোমবার দুপুরে মামলা নেওয়ার কথা জানিয়েছে রমনা থানা পুলিশ। নীলা বলেন, আমাকে অফার করা হয়েছে মীমাংসার জন্য। আমি ন্যায়বিচার চাই। হাসান আরিফের সঙ্গে মীমাংসা বৈঠকেও বসতে রাজি। কিন্তু প্রতিটি অন্যায়, অবিচার ও নির্যাতনের বিচার হতে হবে। ২০১৮ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত যে সময় গেছে সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/০২ডিসেম্বর/এসএস/ইএস)
মন্তব্য করুন