রোকেয়া ও মোস্তফা রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল-ইনু-মেনন-পলকসহ ৯ জন
ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জামান ও কাফরুল থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক কাউন্সিলর জামাল মোস্তফার তিন দিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ৯ জনকে ঢাকার তিন থানার পৃথক পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় রোকেয়া ও মোস্তফাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর ফেরদৌস জামান।
শুনানিকালে এই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রোকেয়া ও মোস্তফার মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
অন্যদিকে চার মন্ত্রীসহ ৯ জনকে আদালতে হাজির করে পৃথক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে একই আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার দেখানো অপর পাঁচ আসামি হলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজীবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামাল ও রোকেয়া জামান, কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান।
২০১৫ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আনিসুল হক, জুনায়েদ আহমেদ পলক ও সাদেক খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার ওপর রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন এলাকায় হামলার মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় নজিবুর রহমান, যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামাল ও রোকেয়া জামান এবং রমজান মিয়া জীবন হত্যা মামলায় কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আদালতের অনুমতি নিয়ে রোকেয়া জামান বলেন, ‘আমি অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ। আমাকে অন্যায়ভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি নির্দোষ।’
আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামান বলেন, ‘আমি কাউকে হত্যা করেনি। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় বারবার গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। আমাদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে।’
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এসব আদেশ দেন।
(ঢাকাটাইমস/৪ডিসেম্বর/আরজেড/এজে)
মন্তব্য করুন