মাদারীপুরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবির

গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবির হয়ে যাচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার কোথাও সূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখা যায়নি। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিকে মাদারীপুর জেলার সব হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগও চেষ্টা করছে অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে। তবে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের নিত্যদিনের আয়-রোজগারে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
আনোয়ার হোসেন নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা অটোভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। তার ওপর গত কয়েকদিন ধরে বাতাসের সঙ্গে শীত অনেক বাড়ছে। খড়কুড়ো দিয়ে আগুন জ্বালিয়েও শীত নিবারণ করা যাচ্ছে না। বাইরে লোকজনও কম আসছে। ফলে রোজগার নেই বললেই চলে। এভাবে আরো কয়েকদিন থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।’
ভ্যানচালক গালিব বেপারী বলেন, ‘দুই দিন ধরে বাড়ছে শীত। তারপরও সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। সাথে হিমেল বাতাস বইছে। যে কারণে ভ্যান চালাইতে গেলে শীত বেশি অনুভূত হয়। অনেক সময় গা বরফের মতো হয়ে যায়। শীতের কারণে খুব কষ্টে আছি। গাড়ির জমার টাকাই উঠবে না। সংসারের খরচ তো বাদই দিলাম।’
মাদারীপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের মুখ্য পরিদর্শক এআর সান্টু বলেন, ‘সপ্তাহজুড়ে শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। এছাড়া অনেক স্থানে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও থাকবে। তবে বর্তমানে জেলায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র বইছে। সামনে আরো তাপমাত্রা কমতে পারে। বৃষ্টির সাথে শীতের তীব্রতাও বাড়বে।’(ঢাকা টাইমস/২১ডিসেম্বর/এসএ)

মন্তব্য করুন