আখাউড়ায় নারী হত্যার দায় স্বীকার করলেন যুবলীগ নেতার ছেলে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শারমিন বেগম নামে এক নারীকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে আটক ফারহান রনি।
পুলিশের প্র্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি দায় স্বীকার করেন বলে জানান আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ ভূইয়ার রহিমপুর গ্রামের বাড়ি থেকে শারমিন বেগমের আগুনে পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই শাহনেওয়াজ ভূইয়ার ছেলে ফারহান রনিকে আটক করে পুলিশ।
শারমিন বেগমের হত্যার ঘটনায় তার বড় মেয়ে রুমা আক্তার ফারহান রনিকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শারমিন বেগম ও তার স্বামী নুরুল ইসলাম ৪০ বছর ধরে শাহনেওয়াজ ভূইয়ার হীরাপুর গ্রামের একটি জায়গায় মাটির ঘর করে বসবাস করতেন। আগে শাহনেওয়াজ ভূইয়ার বাড়ির কাজকর্ম করতেন তারা। এখন ভিক্ষাবৃত্তি ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলেসন্তান নেই তাদের।
মঙ্গলবার রাতে শারমিন বেগম ঘরেই ছিলেন। ফারহান রনি তার মা অসুস্থ বলে শারমিন বেগমকে ডেকে নিয়ে যান। শারমিন বেগমের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে ঘুম থেকে গাঁও করতে (ভিক্ষা) যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী ঘরেই ছিল। বিকালে ফিরে শুনি আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। কেন হত্যা করেছে কিছু বুঝতে পারছি না।’
এদিকে মামলার বাদী রুমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘রনি হাঁস চুরি করে রান্না করে দিতে বলেছিল তার মাকে। হাঁস রান্না করে না দেওয়ায় মাকে হত্যা করেছে রনি।’
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আটক ফারহান রনি ওই নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। রনির দাবি, শারমিন বেগম তার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তাদের সম্পত্তি দখল করতে চেয়েছিল। তাকে বশ করতে তাবিজ করেছিল বলে দাবি করেন রনি।
(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/মোআ)

মন্তব্য করুন