গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চাওয়ার পরেই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী

সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চাওয়ার পরেই সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স-স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (আরইউএনইএসএ) আয়োজিত ‘রক্তাক্ত মতিহার ও রিজভী আহমেদ’ ব্যানারে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, সরকারের এই সংস্কার যে কী রূপ হবে, কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবে তা আমরা বলতে পারি না। কারণ সাইবার সংক্রান্ত সংস্কারের যে রূপটি আমরা দেখছি, সেই রূপটি আমার মনে হচ্ছে ভালো কিছু ফিরছে না।
তিনি বলেন, চারদিকে বিভিন্ন ঘটনায় আমরা শঙ্কিত, আমরা ভয়ার্ত, ব্যক্তিগত ভয়ার্ত নই, রাষ্ট্র নিয়ে আমরা ভয়ার্ত। আমরা এর আগেও দেখেছি, যখন কোন সচিব, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ আসে, তখনই সচিবালয়ের মধ্যে ফাইল গায়েব হয়ে যায়, আগুন ধরে।
‘সচিবালয়ে মধ্যরাতে যে আগুন, আমরা কোনো মুখরোচক কথা বলতে চাই না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সচিবালয়ে আগুনে অনেক নথিপত্র পুড়ে গেল। একটি ঘটনা আরেকটি ঘটনাকে সন্দেহ তৈরি করে। গতকালই আমরা সংবাদপত্রে দেখেছি, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি চেয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই নথি চাওয়ার পরেই গতকাল গভীর রাতে আগুন। এটা জনমনে বিরাট প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে একেবারে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি দিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মত দেন রিজভী। কারণ গতকাল শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের কিছু নথিপত্র চাওয়ায় সচিবালয়ে নতিপত্র পুড়ে যাওয়া ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এটি মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে, মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কারা নির্বাচিত হবে রাষ্ট্র গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি তা নির্ধারণ করে দেয় তাহলে এ আত্মত্যাগের কী দাম থাকবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয় কীভাবে। পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নীতি শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পরিবর্তিত দেশকে শুধুমাত্র ভারত ছাড়া সবাই স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার কালাকানুনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অনেক দলের আত্মত্যাগ অস্বীকার করা যাবে না। বিএনপিকে ভাঙার জন্য এই সরকারের ভেতরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কি না তা নিয়ে জনগণের ভেতরে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স-স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (আরইউএনইএসএ) সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, কৃষক দল সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, রুনেসার সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবীর প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন