বোয়ালমারীতে পর্নোগ্রাফি চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে পর্নোগ্রাফি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন— গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার আদর্শ গ্রামের মো. ইউসুফ খানের মেয়ে তানিয়া খানম (৩২) ও ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার শির্কিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মোল্লার মেয়ে কাকলী বেগম (৩২)।
জানা যায়, দুই বছর আগে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী ভুক্তভোগী গৃহবধূর মোবাইল ধারণকৃত একান্ত ব্যক্তিগত কিছু ভিডিও চিত্র কৌশলে হাতিয়ে নেয় তানিয়া খানম। দুই বছর আগে আত্মীয়তার সুবাদে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসেন তানিয়া। গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া, কাকলী বেগম সহ ৪/৫ জনের একটি চক্র চুরি করে নেওয়া ভিডিও গুলো এডিট করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে। পরে সেসব ভিডিও ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামীসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ‘আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার কিছু ভিডিও এর সাথে অশ্লীল কিছু ভিডিও জুড়ে দিয়ে দিনের পর দিন ভয় দেখিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। তাদের ফাঁদে পড়ে মানসিকভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তারা সেসব ভিডিও ফেসবুকে ছেড়েও দিয়েছিল পরে তাদের টাকা দিয়ে বন্ধ করাই। সম্প্রতি তারা আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। না হলে এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পর্নোগ্রাফি সাইডে বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ আমলে নিয়ে পর্নোগ্রাফি চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ।’
থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত দুজন ছাড়াও এ চক্রের আরো ৪ সদস্য রয়েছে।
বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক মো. শামীম দেওয়ান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী রোজ ভালী গার্ডেন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের কিছু সময় আগে অপর আসামি বদিউল আলম তুহিন পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ দুপুরে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি চলছে।
বোয়ালমারী থানার ওসি মো. গোলাম রসূল গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করলেও তথ্য দিতে অস্বীকার করে বলেন, অফিসিয়াল সিক্রেট মেইনটেইন করতে তথ্য দিতে পারবো না, আপনারা আদালত থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
(ঢাকা টাইমস/২৬ডিসেম্বর/এসএ)
মন্তব্য করুন