মোহামেডানকে হারিয়ে নকআউট পর্বের পথে আবাহনী

বাংলাদেশে আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ মানেই বাড়তি উত্তেজনা-উন্মাদনা। এবার আরও একবার এই দুই দলের লড়াই উপবোগ করলেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীররা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের লড়াইয়ের পর আবাহনী শেষ হাসি হেসেছে।
ফেডারেশন কাপের নকআউটে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে জয় দরকার ছিল মোহামেডানের ওপর। তার ওপর ম্যাচটা ছিল মর্যাদার লড়াইয়ে। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে হেরেই গেল মোহামেডান। গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখের হাসি চওড়া হয়েছে আকাশি নীল সমর্থকদের। এই জয়ে নকআউটের পথে আরও এগিয়ে গেল আবাহনী।
২০২৩ সালের ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-০ গোলে জেতার পর ৬ বার দেখা হলেও মোহামেডানের বিপক্ষে একবারও জয়ের হাসি ছিল না আবাহনীর। চারটি জিতেছিল মোহামেডান, দুটি ম্যাচ হয়েছিল ড্র।অবশেষে প্রায় দুই বছর ও ৬ ম্যাচ পর মোহামেডানকে হারানোর মধুর স্বাদ পেলো আবাহনী।
কুমিল্লার শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) গ্রুপ পর্বের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আমাহনী। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মোহাম্মদ ইবরাহিম আবাহনীর জয়সূচক গোলটি করেন। তিন ম্যাচের টানা দুটিতে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কায় মোহামেডান।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকলেও ফেডারেশন কাপে অবস্থা নড়বড়ে মোহামেডানের। গ্রুপের প্রথম ম্যাচেই রহমতগঞ্জের কাছে হারতে হয়েছে তাদের। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর কাছে হেরে নকআউট পর্বে ওঠার রাস্তাটা প্রায় বন্ধই হয়ে গেল তাদের জন্য। এখন তাদের দৌড় নির্ভর করবে ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’র ওপর। এই ম্যাচের আগে সাম্প্রতিক দ্বৈরথে মোহামেডানই এগিয়ে ছিল। প্রিমিয়ার লিগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিয়ে পর আর মোহামেডানকে হারাতে পারেনি আবাহনী। আর সব ম্যাচ মিলিয়ে সংখ্যাটি ৬ ম্যাচ। এর মধ্যে ৩ ম্যাচেই জয় পেয়েছিল সাদা-কালো জার্সিধারীরা। বাকি ৩ ম্যাচ হয়েছিল ড্র। এবার মোহামেডানের অপরাজেয় যাত্রা থামল।
এদিন ঢাকা ডার্বি খ্যাত আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। তবে আক্রমণে আবাহনীই এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোনো দলই। ডেডলক ভাঙতে অপেক্ষা করতে হয় ৭৩ মিনিট পর্যন্ত।
মাঝমাঠ থেকে আবাহনীর এক খেলোয়াড় বল বাড়ান ডানপ্রান্তে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আবাহনীর উইঙ্গার ডি বক্সে মোহামেডানের তিন খেলোয়াড়ের মাঝে জায়গা খুঁজে নিয়ে ক্রস বাড়ান। প্রথম টাচেই বল জালে ঠেলে দেন ইবরাহিম।
গোল খেয়ে শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল মোহামেডান। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ করেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি গত আসরের রানার্স আপরা।
(ঢাকাটাইমস/০৭ জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন