দেশে এক নারীর শরীরে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত

দেশে এক নারীর শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। এর মাধ্যমে চীন, জাপান, মালয়েশিয়া ও ভারতের পর বাংলাদেশেও ঢুকে পড়ল আতঙ্ক ছড়ানো এই ভাইরাস।
রবিবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘শনিবার আমরা নতুন করে একজনের দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের একটা রিপোর্ট পেয়েছি। রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত। তার শারীরিক অবস্থা যতটুকু জেনেছি আগের চেয়ে খানিকটা ভালো।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘রোগী দেশেই আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ তার কোনো বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এটা খুবই স্বাভাবিক। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই আছে। সুতরাং এটা নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের কিছু নেই।’
এদিকে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেছে, ‘চলতি বছরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ালেও এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতি বছরই দুই-চারজন আক্রান্ত রোগীর হদিস পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটা শুধু চীনেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি আরও আগে থেকেই আমরা পেয়েছি।’
সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে এইচএমপিভির চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই এবং এইচএমপিভি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এইচএমপিভি ২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশে আছে। এমনকি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। যে কারণে করোনাভাইরাসের মতো এই ভাইরাস নিয়ে এতো ভয়ের কিছু নেই।
(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন