রাবিতে কলেজ শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিমুল শিহাব নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিমুল শিহাব রাজশাহী নগরীর মেহেরচন্ডী বুধপাড়া এলাকায়। প্রাথমিকভাবে জানা যায় তিনি রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলেন, ক্যাম্পাস থেকে রাত ১১টার দিকে একটি ছেলেকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলে লুকানো হচ্ছিল। পরে জেরার মুখে মারামারি করে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। তাকে ‘ফিজিক্যাল অ্যাসল্টেড ব্রট ডেথ’ হিসেবে পেয়েছেন। শরীরের বাইরের অংশে বড় কোনো ক্ষতের দাগ পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বিজ্ঞান ভবনের পেছনে একটি মেয়ের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন ছেলেটি। এসময় সেদিক দিকে প্রক্টরের নিয়মিত টহল চলছিল। প্রক্টরের গাড়ি দেখে বাইক নিয়ে পালাতে লাগে তারা। যেদিক দিয়ে পালাচ্ছিল সেখানে রাস্থার কাজ চলছে। রাস্তার মধ্যে দিয়ে রড পারা ছিল। রডের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। তাকে প্রথমে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরো একজন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা লাইব্রেরি থেকে রুমে যাওয়া সময় দেখি আমাদের সামনে দিয়ে একজন খুব জোরে বাইক নিয়ে যাচ্ছে। বাইকের পেছনে একটা মেয়েও ছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর ছেলেটি রড পারা রাস্তায় পড়ে যায়। ছেলেটি তখন অজ্ঞান হয়ে গেছিল। সেখানে তাকে আশে পাশের শিক্ষার্থীরা এসে মাথায় পানি দেয়। পরে প্রক্টর সেখানে এসে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন মেয়েটি বলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না। পরে অ্যাম্বুলেন্স এসে ছেলেটিকে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, রাত ১০টার দিকে আমি ঘটনা জানতে পারি। আমাদের সহকারী প্রক্টর টহল দিচ্ছিল। তখন ছেলে-মেয়ে দুজন তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পেছনে ছিল। প্রক্টরের গাড়ি দেখে তারা বাইক নিয়ে পালাতে লাগে৷ ওদিক দিয়ে রাস্তার কাজ চলছিল। সেখানেই দুর্ঘনাটি ঘটে। পরে আমাদের লোকজন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে পাঠায়। সেখান থেকে তাকে রামেকে নেওয়া হয়। ছেলেটির বাইক প্রক্টর দপ্তরে আছে। কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম ছেলেটি মারা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহীর মতিহার থানার ওসি মো. আব্দুল মালেকে বলেন, আমরা বিষয়টি খোঁজ খবর রাখছি। তবে সঠিক ঘটনাটি এখনো জানতে পারিনি। সবার সাথে কথা বলে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করতেছি। মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো হয়নি, তবে হতে পারে।
(ঢাকা টাইমস/২৪জানুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন