চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকছে না উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও অধিনায়কদের মিলনমেলা

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। ভারতের আপত্তিতে অনিশ্চিত ছিল এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন। তবে শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তানের লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডির পাশাপাশি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
৮ দলের অংশগ্রহণে এই মেগা টুর্নামেন্টে থাকছে না কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এছাড়া সব অধিনায়কদের যে মিলনমেলা বা ‘ক্যাপ্টেনস ইভেন্ট’ সেটিও হচ্ছে না এবার।
সাধারণত আইসিসির কোনও ইভেন্ট ছাড়া এত অধিনায়ককে একসঙ্গে কোথাও দেখা যায় না বললেই চলে। ‘ক্যাপ্টেনস ইভেন্ট’ অধিনায়কদের একসঙ্গে হওয়ার সুযোগটা করে দেয়। তবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অধিনায়কদের এই অনুষ্ঠান আর হচ্ছে না। এছাড়া এই টুর্নামেন্টে থাকছে না কোনও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং ক্রিকবাজের খবরে জানা গেছে, ইসিবি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের সফরসূচি চূড়ান্ত করেছে। সে সূচি অনুযায়ী ইংল্যান্ড ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং অস্ট্রেলিয়া তার পরদিন যাবে পাকিস্তানে। যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুই হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও পাকিস্তানে যাচ্ছেন না।
এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড দল আছে ভারতে। সেখানে তারা টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। এই সিরিজ শেষ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সিরিজ শেষে দলকে ৭ দিনের বিশ্রাম দিতে চায় ইসিবি। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে তাদেরকেও ৪ দিনের বিশ্রাম দেবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে না তারা।
মূলত এসব কারণেই হচ্ছে না উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। জিও সুপারে আইসিসির এক কর্মকর্তা বলেছেন, পিসিবি ও আইসিসির আগ্রহ থাকার পরও ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সথা সময়ে না থাকায় উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান হচ্ছে না। ক্রিকবাজে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেছেন, আইসিসি বা পিসিবি কারও পক্ষ থেকেই অনুষ্ঠানের ঘোষণা হয়নি।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করলেও পুরো টুর্নামেন্ট ঘিরে উদযাপন করতে চায় পাকিস্তান। সংবাদমাধ্যমের খবর, ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তা-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের আগে বিশেষ কোনও আয়োজন করতে চায় পিসিবি।আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ০৯ মার্চ পর্দা নামবে টুর্নামেন্টটির। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে আয়োজক পাকিস্তান। ম্যাচটি হবে করাচিতে। এ ছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। এই ম্যাচটি হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইয়ে।
টুর্নামেন্ট শুরুর একদিন পর তথা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে বাংলাদেশ। ৮ দলের টুর্নামেন্টে সর্বমোট ১৫ টি ম্যাচ হবে। আয়োজক পাকিস্তানের তিনটি মাঠ ছাড়াও নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে থাকছে দুবাই।
(ঢাকাটাইমস/৩১ জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন