গবেষণা প্রণোদনা পেলেন কুবির ১৩ শিক্ষক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের আয়োজনে 'গবেষণা প্রণোদনা অনুষ্ঠান-২০২৫' এর আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিজ্ঞান অনুষদের ৫ জন, কলা ও মানবিক অনুষদের একজন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের দুজন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের তিনজন এবং প্রকৌশল অনুষদের দুজনসহ ১৩ জন শিক্ষককে সম্মাননা স্মারক ও প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রণোদনাপ্রাপ্ত ১৩ শিক্ষক হলেন— রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মাজেদ পাটোয়ারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শফি উল্ল্যাহ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খলিলুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, এআইএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাছান, আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. বেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
উপাচার্য বলেন, 'আপনাদের এই প্রণোদনা মানুষ দেখে দেওয়া হয় নি। আপনাদের কনটেন্টের দিকে তাকিয়েই দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত অনেক বেশি। আপনারা এতো বেশি ক্লাস নিয়েও কেউ ওয়ান জার্নালে রিসার্চ পাবলিশ করতে পেরেছেন, আপনাদের স্যালুট জানাই। এই প্রণোদনা পেয়ে অন্য শিক্ষকরা উৎসাহিত হবে এটাই আজকের অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য।'
তিনি আরো বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে পার্থক্য এখানেই। আপনারা নলেজ ক্রিয়েট করেন৷ প্রত্যেকটা পাবলিকেশন একটা নিউ ক্রিয়েশন। এই প্রণোদণা দেওয়ার ধারা প্রতি বছর অব্যাহত থাকবে। আশা করি আমাদের শিক্ষকরা অনুপ্রাণিত হয়ে সামনে আরও বেশি গবেষণা করবে।' (ঢাকা টাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন