কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সাথি খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী বিরুদ্ধে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত সাথি খাতুন উপজেলার সদকী ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক সীমান্তের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রামের মনছুর শেখের মেয়ে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, প্রায় আট বছর আগে করাতকান্দি গ্রামের মতিয়ার শেখের ছেলে সীমান্তের সঙ্গে সাথি খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এই দম্পতির নাহিদ (৬) বছর ও আফসানা (৪ মাস) নামের দুইটি সন্তান রয়েছে। তবুও প্রায় এক বছর আগে সীমান্ত তার খালাতো বোনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। সমস্যার সমাধানে পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিশি বৈঠকও হয়েছে। প্রায় সাতদিন আগে পরকীয়া প্রেমিকাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সীমান্তকে ৯০ হাজার টাকা দেন শ্বশুর মনছুর। তারপরও রবিবার পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে দিনভর ঘুরাফেরা করেন সীমান্ত।
রাতে সাথি খাতুন তার স্বামীর কাছে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরাঘুরির বিষয়টি জানতে চান। তখন সীমান্ত তার স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে হত্যা করেন। পরে সাথির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পালিয়ে যান।সাথির বড় ভাই সবুজ বলেন, ‘খালাতো বোনের সঙ্গে সীমান্তের পরকীয়া প্রেম চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ হয়েছে। গত সপ্তাহে মিটমাটের জন্য ৯০ হাজার টাকাও দিছি। তবুও রবিবার পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল। সে খবর জানতে গেলে সীমান্ত আমার বোনকে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পালিয়েছে। আমি অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি চাই। থানায় মামলা করব।’
নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের ক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক বিপ্লব বিশ্বাস। তিনি জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
(ঢাকা টাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন