ভৈরবে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা

ভেজাল পণ্য উৎপাদনের দায়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুটি সেমাই ফ্যাক্টরিসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ) বিকালে শহরের জগন্নাথপুর তাঁতারকান্দি, ঘোড়াকান্দা ও চণ্ডিবের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার আশরাফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পালসহ র্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্প, জেলা ব্যাটালিয়ান আনসার ও ভৈরব থানার পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দেশের চলমান খাদ্যের ভেজাল নির্মূল ও পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ভৈরবে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদন কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে শহরের জগন্নাথপুর তাঁতারকান্দি এলাকায় কিশমত ফুড প্রোডাক্টসকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ২ লাখ টাকা, ঘোড়াকান্দা এলাকায় খন্দকার ফুড প্রোডাক্টসকে নিবন্ধন ব্যতীত সেমাই উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা ও চণ্ডিবের এলাকায় দেশবন্ধু সেমাই ফ্যাক্টরিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও যথাযথ লেভেলিং ব্যতিরেকে পণ্য উৎপাদনের দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন বেকারিতে অভিযান পরিচালনা করে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। সব শেষে বিভিন্ন করাখানার খাদ্যকর্মীদের মাঝে লিফলেট, হেড ক্যাপ ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণসহ সচেতন করা হয়।
এ বিষয়ে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইনে সংক্ষিপ্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার (সামারি ট্রায়াল) মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পরিচালনা করা হয়। বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত খাদ্য ক্যান্সারের উপাদানসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ উপাদান পাওয়া যায়। নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেটের নির্দেশে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ফুড কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/মোআ)

মন্তব্য করুন