দোহারে কিশোরী ধর্ষণ-হত্যা মামলার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড

ঢাকার দোহারে কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত জিয়াউর রহমান দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনা মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। এ জন্য আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির করেছেন।
রায়ে আদালত আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে নিহতের পরিবারকে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রায়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এরশাদ আলম (জর্জ) বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ের মধ্যদিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। প্রত্যাশা করছি শিগগির দণ্ডপ্রাপ্তকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকালে বাড়ির পাশের ক্ষেত থেকে সবজি নিয়ে ফেরার পথে ৯টা ৪৫ মিনিটে জিয়াউর রহমান ভিকটিমকে পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের পর ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা দোহার থানায় মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১২ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ মেহেদী হাসান আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এফএ)

মন্তব্য করুন