২০২০ সালের ১২ জুন এবং একজন আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুলের দেওয়া পুরাতন একটি ফেসবুক পোস্ট বেশ আলোচনায় এসেছে। ২০২০ সালের ১২ জুন আসিফ নজরুল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টটি দেন। বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
নিজের ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “যদি ক্ষমতা থাকতো আইন করতাম: বর্তমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীগণ চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে পারবেন না। ক্ষমতা, চাকরি বা ব্যবসা কোনোভাবেই তাদের সন্তানরা সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না। সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের গণপরিবহণে চড়তে হবে। রাস্তায় চলাকালে তারা অন্য একটি যানবাহনও থামিয়ে রাখতে পারবেন না। বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে তারা অতিজরুরি ছাড়া কোনো সফরসঙ্গী নিতে পারবেন না, এবিষয়ে সংসদকে জানাতে হবে।”
দীর্ঘ ওই পোস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক আরও লিখেছিলেন, “জনগনের টাকায় কোনো কিছু উদ্বোধন বা জনগণকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের নাম ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। তাদেরকে মহামান্য ও মাননীয় বলা নিষিদ্ধ হবে।”
তাদের ও তাদের পরিবারের দেশে বিদেশে সকল সম্পত্তি ও আয়ের বিবরণ জনগণকে জানাতে হবে।
আসিফ নজরুল আরও লিখেছিলেন, “দূদকের একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ইউনিট শুধুমাত্র তাদের বিষয়ে নজর রাখবে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও আরো বহু কিছু করতাম। যারা লুটেরা, চোর আর সন্ত্রাসী- তাদের জীবন নরক বানিয়ে ছাড়তাম।”
আসিফ নজরুলের দেওয়া পোস্টটিতে ৮৩ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী লাইক দিয়েছেন। পাশাপাশি নানান মন্তব্য পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার।
পোস্টেটিতে সেসময় আজিজ আল কায়সার মন্তব্য করেছিলেন, “স্যার এমন একটি দেশ আমিও স্বপ্নে দেখি। আপনাদের মতো ৫০ জন সৎ, দক্ষ, শিক্ষিত, বিচক্ষণ, নির্লোভ, নিরহংকার ব্যাক্তিকে দিয়েই গোটা বাংলাদেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা সম্ভব। ৩০০ জন এমপির দরকার নেই।”
রাশেদুল ইসলাম তুহিন মন্তব্য করেছিলেন, “ক্ষমতা পেলে আপনিও হয়তো ওদের মত নিজের অবস্থা তৈরি করতে চেষ্টা করবেন। ক্ষমতা পাইলে মানুষগুলো আর মানুষ থাকে না। ক্ষমতা পাওয়ার আগে ওরা ভালো মানুষের অভিনয় করে শুধু ক্ষমতার জন্য।”
সম্প্রতি ইব্রাহিম রুপম মন্তব্য করেছেন, “আপনি যে পপুলারিস্ট পোস্ট দেন এবং সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করেন এটা তরুণ প্রজন্ম বুঝতে পারছে। এখন আপনি ক্ষমতা পেয়ে কি করছেন? আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন এবং পূর্বের দেওয়া নিজের পোস্টগুলো পড়ুন।”
এমডি মিলন লিখেছেন, “পাঁচ বছর পরে এসে একটা জিনিস বুঝতে পারলাম, জীবন কত বৈচিত্র্যময়। আসলে বাস্তবতার সাথে সাথে আমাদের নৈতিকতার যে বাক্যগুলি আমরা ছড়াই আসলে সেটা ভুল। বলে ফেললাম এক জিনিস আর করে ফেললাম আরেক জিনিস।”
(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/এসএস/এফএ)

মন্তব্য করুন