একদিনে ব্যবধানে ফের বাড়ল সোনার দাম, ভরি ছাড়াল ১ লাখ ৭৭ হাজার

একদিনে ব্যবধানে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এতে সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার রাতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২০ হাজার ৫১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে এবার সোনার দামের সঙ্গে দেশের বাজারে বেড়েছে রুপার দামও। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম হবে ২ হাজার ৮৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৭১৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা এবং এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২১ এপ্রিল দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চে ৪ হাজার ৭১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।
এ নিয়ে চলতি বছর ২৫ বার দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করে বাজুস। যেখানে দাম বেড়েছে ১৯ বার, আর কমেছে মাত্র ৬ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
এদিকে বিশ্ববাজারেও বেড়েই চলছে স্বর্ণের দাম। ঊর্ধ্বমুখী এই প্রবণতায় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছ ৩ হাজার ৫০০ ডলারের মাইলফলক।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুদের হার দ্রুত কমানোর আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করেন যে, তা না হলে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়তে পারে। অন্যদিকে, ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল তার অবস্থানে অনড় থেকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে মত দেন। এই অবস্থান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, ফলে তারা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন।
(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/এমআর)

মন্তব্য করুন