পাবনায় বালুমহাল দখল নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৭

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মা নদীর বালুমহালের দখল নিয়ে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাট প্রান্তে নদীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন— চপল সরদার, রিপন আলী, রাসেল হোসেন, সৈকত হোসেন, সেলিম হোসেন, লালু মিয়া ও সানাউল হক সানা। এছাড়া রুবেল হোসেন নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন ঈশ্বরদীর সাঁড়া ঘাট বালু মহালের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনি।
স্থানীয় লোকজন, নৌ পুলিশ, ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও বালুমহালে কাজ করা লোকজন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া প্রান্তে বালু উত্তোলন নিয়ে ভেড়ামারা প্রান্তের ইজারাদার কাকন আলী ও ঈশ্বরদী প্রান্তের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনির মধ্যে বালু মহালের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে বালু উত্তোলনের কাজ করার সময় তিনটি বড় নৌকা ও দুটি স্পিডবোট নিয়ে বালুমহালে অতর্কিত হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্তরা। এ সময় নদীর মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলির ঘটনা ঘটে। এতে নদী ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোলাগুলিতে ৭-৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদীর সাঁড়া ঘাটের বালু মহালের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনি বলেন, বালু উত্তোলনের সময় নদীতে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।
এ ব্যাপারে জানতে ভেড়ামারা প্রান্তের ইজারাদার কাকনকে তার মোবাইলে পাওয়া যায়নি। তবে তার পক্ষের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঈশ্বরদী প্রান্তের ইজারাদারের লোকজন এই প্রান্তের লোকজনকে বালু উত্তোলনে বাধা দিয়েছিল। মূলত সেই ঘটনার সূত্র ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, নদীতে বালুমহালের ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও ঈশ্বরদীর সীমান্ত এলাকায় নদীর মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
(ঢাকা টাইমস/২২মে/এসএ)

মন্তব্য করুন