এসআই সুকান্তকে কারাগারে প্রেরণ

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ চারটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত কুমার দাসকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকালে সুকান্ত কুমার দাসকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার সুকান্ত কুমার দাস খুলনার ডুমুরিয়া থানার কালিকাপুর গ্রামের শত্রুঘ্ন দাসের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন।
এদিকে, এস আই সুকান্ত দাশকে পুলিশ সদর দপ্তর, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত করেন কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার।
কেএমপি মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি এবং আদালতে একটি মামলা রয়েছে।
কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, সদর থানায় দায়ের হওয়া শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুর মামলার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার সংক্রান্ত বিধি-বিধান অনুসরণ করতে সময় লেগেছে।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এসআই সুকান্ত দাশ গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে চাকুরিতে যোগদান না করে পলাতক ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকালে খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয়রা মারধর করে উপ-পরিদর্শক সুকান্ত কুমার দাসকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আদালতে একটি মামলার সাক্ষী দিতে খুলনায় এসেছিলেন তিনি। তার নামে খুলনা সদর থানায় ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন। এছাড়া বিএনপির নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ অন্তত চারটি মামলা চলমান রয়েছে।
পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পরও এস আই সুশান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা কেএমপি সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। রাত সাড়ে ৯টায় ছাত্ররা চলে গেলে তালা ভেঙে কার্যালয় থেকে বের হন পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে বৃহস্পতিবারও তারা কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
(ঢাকা টাইমস/২৬জুন/এসএ)

মন্তব্য করুন