আবরার হত্যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৩ মে ২০২৫, ১৫:৩৩
অ- অ+

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।

২০২৪ সালের ১৬ মার্চ বিচারপতি কে এম আসাদুজ্জামান বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রাখেন হাইকোর্ট।

বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন আবরার ফাহাদ। ২০১৯ সালের অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্মম নির্যাতনে নিহত হন তিনি।

ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০২১ সালের ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে বিচারক বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আবরার ফাহাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ আনেন এবং নির্মম নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন তাকে।

আবরার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সে সময় উত্তাল হয়ে উঠেছিল বুয়েটসহ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সোচ্চার হয়েছিল দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। ঘটনার জের ধরেই তীব্র আন্দোলনের মুখে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন মাধ্যমে তখন আবরার ফাহাদ হত্যার বিবরণ পাওয়া যায়। ঘটনার দিন কুষ্টিয়ার বাড়ি থেকে বুয়েটে এসে শেরে বাংলা হলে নিজের ১০১১ কক্ষে যান আবরার। ফেসবুকে ভারতবিরোধী একটি পোস্টের জের ধরে রাত ৮টার দিকে তাকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। তাকে শিবির’ আখ্যা দিয়ে দুই দফায় দুটি কক্ষে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে রাত দুইটার দিকে আবরারকে হত্যা করে একতলা দোতলার সিঁড়ির মাঝামাঝি ফেলে রাখা হয়।

এর মধ্যে খবর পেয়ে রাত দুইটার দিকে টহল পুলিশের একটি দল হল গেটে গেলে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে চারটার দিকে পুলিশ আবার হলে যায়। ডাক্তার এসে মৃত ঘোষণা করলে পুলিশ মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আবরার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম মুজতবা রাফিদ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান।

(ঢাকাটাইমস/৩মে/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সরকার নির্ধারিত হাসিলের বেশি আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
মেসির রেকর্ডে বড় জয় মিয়ামির
ট্রেনে ঈদযাত্রা: প্রথম দিনে টিকিটবিহীন ৩৭ যাত্রীর শাস্তি
জনতা ব্যাংকের ফরিদপুর বিভাগীয় শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা