আশুলিয়ায় খুলেছে কারখানা, কাজে যোগ দিয়েছে শ্রমিকরা

সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষের জেরে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ৫৫টি কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ভোর থেকে শ্রমিকদের কারখানায় এসে কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে। তবে শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সড়কে টহল দিচ্ছে র্যাব, পুলিশ ও শিল্পপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ দল।
সোমবার ভোর হতেই হাজার হাজার শ্রমিকের ঢল নামে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে।
এসময় সড়কের দুই পাশে বিজিএমইএ বন্ধ ঘোষিত কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হলে শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কারখানায় প্রবেশ করে কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে।
ঢাকা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (আশুলিয়া সার্কেল) নাজমুল হাসান ফিরোজ ঢাকাটাইমসকে জানান, বিজিএমইএ-এর ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ ৫৫টি কারখানা খুলে দেওয়ায় সকাল থেকেই শ্রমিকরা কারখানায় ফিরতে শুরু করেছে। এসময় শান্তিপূর্ণ ভাবে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজে যোগ দেয়। তবে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এখনও শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে টহলরত রয়েছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মোট ১০টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে আটটি মামলা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। আর বাকি দুটি মামলা পুলিশ বাদী হয়ে করেছে। আর ১০ মামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টিভির সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদা, সাভার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনি আক্তারসহ সাত শ্রমিক নেতা রয়েছে।
কারখানার শৃংখলা ভঙ্গ করে আন্দোলন করাসহ কারখানার অন্যান্য শ্রমিকদের আন্দোলনের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে শিল্পাঞ্চলের বেরন এলাকার উইন্ডি গ্রুপের ১২১জন আশুলিয়া থানা সংলগ্ন ফাউন্টেইন কারখানার ১৩৫ এবং নরসিংহপুর এলাকার হা-মীম গ্রুপের ৯৬জন শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ হতে শিল্পাঞ্চলের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএ)

মন্তব্য করুন