বিয়ের উৎসবে নিমন্ত্রণ

মাহমুদ উল্লাহ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:৩২ | প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৬:২৬

ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছেন? নাকি মেয়ের জন্য পাত্র? খোঁজ যারই করেন, পাত্র-পাত্রী আর বিয়ের সব রকম অনুষঙ্গের খোঁজ পাবেন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। সেখানে চলছে বিয়ের উৎসব। পাত্র পাত্রী সবই পাবেন আর সঙ্গে পাবেন ডিসকাউন্টও। শুধু বুকিং দিলেই হবে।

এখনই যদি বিয়ে করতে চান, তাহলে আপনাকে কি করতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ম্যারিজ সলিউশন বিডির গুলশান শাখার ম্যানেজার ওয়াহিদা মনি। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এজন্য আপনাকে এক বছরের জন্য মেম্বার হতে হবে। ফি ১০ হাজার টাকা। আর বিয়ে হয়ে গেলে কাবিনের দিন দিতে হবে ৬০ হাজার টাকা। এই হচ্ছে আপনার বিয়ের সলিউশন।’

এরকমই বিয়ের বিভিন্ন ‘সলিউশন’ নিয়ে চলছে সেখানে এই বিয়ের উৎসব। একটু ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায় বেশ অনেক লোকজন একটি স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। সামনে যেতেই চোখে পড়লো মুনসুন ক্যাটারিংয়ের স্টল। তারা আগত অতিথিদেরকে বিনামূল্যে তাদের অ্যাপল পাই ও একটি ড্রাই স্ন্যাক্স খাওয়াচ্ছেন। এজন্য কোন বুকিংও সেখানে দিতে হচ্ছে না। তারা বিয়ের বিভিন্ন ধরনের খাবারের অর্ডার নিয়ে থাকে।

রয়েছে বিয়ের শেরোয়ানি থেকে শুরু করে জামদানী শাড়ির স্টল। ‘জামদানী শাড়ি কুটির’ এর স্টলে ঘুরে দেখা গেলো সেখানে ১ লাখ টাকা দামের শাড়িও স্টলে মিলছে।একটি শাড়ির দাম এত কেন?

জানতে চাইলে হাউজটির হিসাব রক্ষক শিউলি আক্তার ঢাকাটাইমসে বলেন, ‘মূলত আসল জড়ি দিয়ে শাড়িটি তৈরি। আর শাড়িটি অনেক হালকা। এটি তৈরিতে সময় অনেক বেশি লাগে, মজুরিও অনেক বেশি। এসব কারণেই এধরনের জামদানী শাড়ির মূল্য অনেক বেশি।’

উৎসবে ঘুরতে এসেছিলেন সুমাইয়া। তিনি বলেন, ‘সামনে আমার বিয়ে তাই এখানে এসে দেখছি কি ধরনের বিয়ের অ্যারেঞ্জমন্টে করা যায়। এখানে সব কিছু একত্রে পাচ্ছি এটাই এখানকার সবচেয়ে বড় সুবিধা।’

দূরে আর একটি স্টলে ভিড়। সামনে যেতেই দেখা গেল স্টলের মধ্যে অনেক মেয়েরা বসে রয়েছেন। কি হচ্ছে এখানে জিজ্ঞেস করতেই জানা যায়, চলছে মেহেদি উৎসব। তাই সাঁরি বেধে মেয়েরা বসে রয়েছে। কার পর কে মেহেদিতে নিজের হাত রাঙ্গাবে।

আর একটি স্টলে দেখা গেলো চলছে হেয়ার স্টাইলিং। তাও বিনামূল্যে। সেখানেও তাই স্বাভাবিকভাবেই ভিড়। মেয়েরা সারি বেঁধে দাড়িয়ে বা বসে রয়েছে। বিনামূল্যে নিজেকে সাজিয়ে নেয়ার সুযোগ কে আর হাত ছাড়া করতে চায়।

উৎসব জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ছাড়। কোন কিছু কিনলেই বা বুকিং দিলেই দর্শনার্থীরা পেয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ডিসকাউন্ট। তাই এসব উৎসব এক অর্থে খুবই উপযোগী। তাই চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন বিয়ের উৎসবটিতে। বিয়ে নিয়ে যাবতীয় ভাবনার খোরাক যোগাবে। পাবেন যাবতীয় শপিং সম্পর্কে সম্মক ধারণা। উৎসবটি চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এমইউ/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :