ফেনীতে চামড়াপাচার ঠেকাতে সতর্ক বিজিবি
কোরবানি উপলক্ষে ফেনী শহরতলীর পাঁচগাছিয়া বাজারে ১শ থেকে দেড়শ কোটি টাকা পর্যন্ত চামড়া বেচাকেনা হয়। এটি বৃহত্তর নোয়াখালীর সর্ববৃহৎ চামড়া বাজার হিসেবে পরিচিত।
সদর উপজেলার ধর্মপুর, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজীর সীমান্তের চামড়া পাচার ঠেকাতে চার বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ২৩ আগস্ট চামড়া পাচার রোধে পরশুরামে মতবিনিময় সভায় বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী মো. আহসানুজ্জামান কঠোর নির্দেশনা দেন।
ইতোমধ্যে জেলার সীমান্তবর্তী ১শ ৩ কিলোমিটার এলাকায় বিজিবির বিশেষ টহল জোরদার করা হয়েছে ও বিভিন্ন স্থানে স্পট নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বছরজুড়ে চামড়া কেনাবেচা হয় পাঁচগাছিয়া বাজারে। শুধু কোরবানি ঈদে কোটি টাকার চামড়া বেচাকেনা হয় এ বাজারে। বিভিন্ন ট্যানারির মালিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া সংগ্রহ করে।
পাঁচগাছিয়া বাজার চামড়া ব্যবসায়ী মো. নিজাম উদ্দিন জানান, খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করা হয়। কোরবানির ঈদে ফেনী ছাড়াও আশপাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থেকে চামড়া আসে এ বাজারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা বিক্রেতা জানান, অসাধু চামড়া ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার করে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চামড়া পাচার করতে না পারলে তারা সিন্ডিকেট করে খুচরা ব্যবসায়ীদের ঠকিয়ে থাকে। তবে এ ব্যাপারে আগেভাগে সতর্ক ফেনীস্থ বিজিবি।
জানতে চাইলে ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. শহীদুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রতিটি ক্যাম্পে বিশেষ টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে কোনভাবে ভারতেই চামড়া পাচার হতে না পারে। সীমান্তবর্তী ১৭টি ক্যাম্পে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)