মা-বাবার কবরের পাশেই ওয়ালটন গ্রুপের চেয়ারম্যান সমাহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:০২

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়াস প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলামকে টাঙ্গাইলের গোসাই জোয়াইর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।

সোমবার গোসাই জোয়াইর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ আসর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সকাল ১০টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ওয়ালটন গ্রুপের করপোরেট অফিসে মরহুমের প্রথম জানাজা এবং বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত ওয়ালটন ফ্যাক্টরিতে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।

রবিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ৫ পুত্র, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

কর্মজীবনে সফল ব্যক্তিত্ব এসএম নজরুল ইসলাম ১৯২৪ সালের ৭ মে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম এস. এম. আতাহার আলী তালুকদার এবং মাতার নাম শামছুন নাহার।

এসএম নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন শিল্পের পথিকৃৎ। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, আইওটি, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ও মার্সেল প্রতিষ্ঠা করেন।

মরহুমের বড় ছেলে ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রেজভী সকলের কাছে তার বাবার জন্য দোয়া কামনা করেন।

তিনি পিতার উৎসাহে অল্প বয়সেই ব্যবসায়ে যুক্ত হন। স্বাধীনতার পর তিনি পৃথকভাবে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক অবস্থায় তিনি নানাবিধ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। কিন্তু তার সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে সকল প্রতিকূলতা সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেন। ধীরে ধীরে তার ব্যবসায়িক প্রতিভা ও সাফল্য ডানা মেলতে শুরু করে। দেশের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে ইলেকট্রনিক্স পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে এসএম নজরুল ইসলাম গত ১৯৭৭ সালে ওয়ালটন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। তার দূরদর্শিতা ও সুযোগ্য পরিচালনায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ওয়ালটন পণ্যের সুনাম ও খ্যাতি আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি তার গ্রামে এসএম নজরুল ইসলাম কারিগরি বিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এতিমখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সাহায্য-সহযোগিতা দিতেন। তিনি গ্রামের দুস্থ, বৃদ্ধ ও মহিলাদের জন্য বয়স্ক ভাতা প্রকল্প চালু করেছেন। তার মৃত্যু ওয়ালটন পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করছে ওয়ালটন ও মার্সেল পরিবার।

(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/আরকে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :