‘বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে’
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বই পাঠের প্রতি কীভাবে মানুষের আগ্রহ বাড়ানো যায়, সে লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে গ্রন্থাগারের প্রতি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সরকার ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে কাজ করছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাংলা মোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনের অষ্টম তলায় গড়ে তোলা আধুনিক ও মানসম্পন্ন বইয়ের সুপার স্টোর ‘ঢাকা বাতিঘর’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে বাতিঘর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার দীপংকর দাশ।
সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের আদলে লাইব্রেরিকে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ওয়ান স্টপ সেন্টারে পরিণত করা হবে, যাতে লাইব্রেরির প্রতি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের আগ্রহ বাড়ে।
মন্ত্রী বলেন, বইমেলাকে তথাকথিত জনসমাগম কেন্দ্রে পরিণত না করে এটিকে সত্যিকার অর্থে বইপ্রেমীদের একটি মিলনমেলায় পরিণত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সে লক্ষ্যে এবার আমরা ১৬ জেলায় বিশেষ বইমেলা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যেখানে রাজধানী ঢাকা থেকে ৭০-৮০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করবে। তাছাড়া সারাদেশের গণগ্রন্থাগারসমূহকে প্রকৃত অর্থে সচল করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
নূর বলেন, বইয়ের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা আছে বলেই বাতিঘর এর কর্ণধার দীপংকর দাশ এ মহাকর্মযজ্ঞ সাধন করতে পেরেছেন। সবাইকে বই কেনার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা যদি প্রত্যেকে একটি করে বই কিনি তবেই বাতিঘর তার আলো ছড়াবে।
বইয়ের সুপার স্টোর ‘বাতিঘর’ ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে মাত্র ১০০ বর্গফুটের ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু। প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে বাতিঘরের পথচলা শুরু ২০০৯ সাল থেকে। ২০১২ সালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ভবনে প্রায় ৩০০০ বর্গফুটের বিস্তৃত পরিসরে পুরোনো জাহাজের আদলে সম্প্রসারিত হয় বাতিঘর। আর ঢাকার বাতিঘরের আভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা মুঘল স্থাপত্য লালবাগ কেল্লার আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ৫০০০ বর্গফুটের ওপর সুপরিসর এ বাতিঘরে এক হাজারেরও বেশি দেশি-বিদেশি প্রকাশনা সংস্থার শতাধিক বিষয়ের ওপর দশ হাজারের অধিক লেখকের লক্ষাধিক বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/জেবি)