কল্পনা চাকমা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নারাজি শুনানি পেছাল
আদিবাসী নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলায় পুলিশ সুপারের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর বাদীর নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আলীর আদালতে বাদীর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী শুনানিতে পুলিশ ও বাদীপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক পরবর্তীতে আদেশ দেওয়ার কথা বলে আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন। পরে দুপুরে আদেশ দেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুয়েল দেওয়ান বলেন, ‘আমরা নারাজি আবেদন দিয়ে অধিকতর তদন্ত দাবি করেছি। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন।’
শুনানিতে মামলার বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা, ব্লাস্টের চট্টগ্রাম সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী, ঢাকার ব্লাস্টের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট বরকত আলী, চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, চাকমা রাণী য়েন য়েন ও ঢাকা থেকে আসা মানবাধিকার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালের ১১ জুন গভীর রাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাল্যাঘোনার নিজ বাড়ি থেকে কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ঘটনার পরদিন ১৩ জুন বাঘাইছড়ি থানায় মামলা করেন কালিন্দী কুমার চাকমা।
মামলার দীর্ঘ ২০ বছরে ৩৮ বার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। একাধিক প্রতিবেদনও জমা পড়ে আদালতে। কিন্তু সেগুলোর সব কটিতেই নারাজি দেন কল্পনার ভাই। সবশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান ৩৯তম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিবেদন দেন। এই আবেদনও মেনে নেননি বাদী। তার নারাজি আবেদনের ওপর গত ১০ জানুয়ারি শুনানি হয়। সেদিন কোনো আদেশ না দিয়ে ২২ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারক।
(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/ডব্লিউবি/মোআ)