ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি: অভিজ্ঞতা জানাচ্ছেন প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩৬| আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০৮
অ- অ+

৩০ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানিতে জোটের পরাজিত প্রার্থীরা তাদের ভোটের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন।

ধানের শীষের প্রার্থীদের অভিযোগ, ৩০ ডিসেম্বর কোনো ভোট হয়নি, সেদিন ‘ভোট ডাকাতি হয়েছে’।

এবারের নির্বাচনে বিএনপির জোট ঐক্যফ্রন্ট সাড়ে ১৩ শতাংশ ভোট আর আটটি আসন নিয়ে একেবারে তলানিতে অবস্থান করছে। তবে তারা এই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ, ব্যাপক কারচুপি হয়েছে নির্বাচনে। আর কী ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা জানাতেই শুক্রবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে গণশুনানির আয়োজন করা হয়।

শুনানিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া বিভিন্ন প্রার্থী তার নির্বাচনি এলাকা নিয়ে বক্তব্য দেন। যশোর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমার উপর তিন দফায় হামলা হয়েছে, আমার এক হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’

‘ভোটের দিন সকাল ১০ টার মধ্যে সব ব্যালট শেষ হয়ে যায়। এটা কিসের ভোট হয়েছে? প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট ডাকাতি হয়েছে।’ সিরাজগঞ্জ-২ আসনের রুমানা মাহমুদ বলেন, তার কর্মী মেরি বেগমের চোখ নষ্ট হয়েছে পুলিশের গুলিতে। তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে মেরির চোখ ফেরত চান, না হলে ভোট দেয়ার অধিকার চান। গণশুনানির পর গণ আদালত বসিয়ে কর্মসূচি দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি জোটের কাছে। বলেন, ‘জেলায় জেলায় গণ আদালত বসিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ওই আদালতে জনগণ তার রায় দেবে।’

সকাল ১০টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে গণশুনানি শুরু হয়। এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পরে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

গণশুনানিতে ৭ সদস্যের বিচারক প্যানেলের প্রধান হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা কামাল হোসেন।

অন্যদের মধ্যে এমাজউদ্দীন আহমদ, নুরুল আমিন বেপারী, মহসিন রশীদ, আনিসুর রহমান খান, দিলারা চৌধুরী ও আসিফ নজরুল রয়েছেন।

গণশুনানিতে ধানের শীষের প্রার্থীরা ছাড়াও নির্বাচনে যারা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা শোনা হয়। তবে জামায়াতে ইসলামীর যেসব নেতা ধানের শীষ নিয়ে লড়েছিলেন, তারা দুপুর পর্যন্ত যোগ দেননি শুনানিতে।

শুনানির শুরুতে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা বিচারক না, কোনো বিচার করার ক্ষমতা আমাদের নেই, কর্তব্যও নেই। গণশুনানি হচ্ছে, জনগণের উদ্দেশ্যে প্রার্থীরা বক্তব্য দেবেন। বিচার যেটা হচ্ছে সেটা ট্রাইব্যুনালে হবে। আর গণআদালত যেটা বলা হয়, সেটার বিচার জনগণ করবে।’

‘আমরা এসেছি অনুষ্ঠানটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হোক, সেজন্য। যে বক্তব্যগুলো আসবে সেগুলো পরে প্রকাশ করা হবে। বই আকারেও প্রকাশ করা হবে। সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।’ ‘এই গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানোনো। সংবিধানে আছে এ দেশের জনগণ এই দেশের মালিক। ভোটাধিকার রক্ষা করার জন্য আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করে জয়ী হয়েছিলাম।’

‘এবার যে নির্বাচন হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রার্থীদের অনেকে ট্রাইব্যুনালে মামলা আকারে ফাইল করেছেন। ... কোর্টে যেটা হবে, মামলা ফাইল করা হয়েছে, সেটা হবে। কিন্তু জনগণ ক্ষমতার মালিক হিসেবে তাদেরও জানানো দরকার।’

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/বিইউ/ডব্লিউবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভেষজ বিলাতি গাব খেলে দূর হবে ক্যানসার, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত, জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ
রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা