বহুমুখী পাটপণ্য তৈরিতে সংকট মানসম্মত কাঁচামাল: শাফিয়া শামা

জহির রায়হান, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০১৯, ১২:৫০| আপডেট : ০৯ মার্চ ২০১৯, ১৮:০১
অ- অ+

পাটের বহুমুখী পণ্য আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন শাফিয়া শামা। তার প্রতিষ্ঠান ‘এমএস শামা’। এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ওইমেন এন্টারপ্রেনার অফ দ্যা ইয়ার ছাড়াও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন পুরস্কার। শাফিয়া শামা আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী নারী সংগঠন ভাইটাল ভয়েজেসের বাংলাদেশের প্রতিনিধি, যার চেয়ারপারসন হিলারি ক্লিনটন।

পাটের বহুমুখী পণ্যের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে কধা কথা বলেছেন শাফিয়া শামা। বলেছেন, নারীদের ব্যবসা করার চ্যালেঞ্জ নিয়েও। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাটাইমসের নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হান

ঢাকাটাইমস: বহুমুখী পাট পণ্যের ব্যবসায় কীভাবে জড়ালেন?

শাফিয়া শামা​: ২০০৩ সালে চার হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে বুটিক ব্যবসা শুরু করি। তখন আমি দুই সন্তানের মা। প্রথমে একজন কর্মী নিয়ে বুটিক ব্যবসা শুরু করলেও ২০১১ সালে আমার কর্মী সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০০ জনে। বাংলার মেলা, আড়ং, কে-ক্রাফটসহ বেশ বিছু স্বনামধন্য ফ্যাশনহাউজে আমার প্রতিষ্ঠানের তৈরি পোশাক সরবরাহ করতাম। ২০০৮ সালে চিন্তা করলাম আমি কীভাবে রপ্তানিযোগ্য পণ্য তৈরি করতে পারি। সেই থেকেই আমি পাটপণ্য নিয়ে কাজ করি। এখন আমি বুটিক ব্যবসাটা খুব ছোট পরিসরে করছি। পাটের বহুমুখী পণ্য তৈরির ফ্যাক্টরি হাজারিবাগে। আমার ফ্যাক্টরিতে ৩০ জন কর্মচারী কাজ করছেন। চার-পাঁচটি ফ্যাক্টরির সঙ্গে আমি আউটসোর্স করি। আমার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত বহুমুখী পাটপণ্যের ২০ শতাংশ রপ্তানি করি। আমার পরিকল্পনা আছে এটাকে ৫০ শতাংশ নিয়ে যাওয়া।

ঢাকাটাইমস: পাটপণ্য তৈরিতে চ্যালেঞ্জ কী কী দেখছেন?

শাফিয়া শামা​ : পাট সেক্টরের প্রতিকূলতার অভাব নেই। যারা বড় উদ্যোক্তা তাদের কথা বাদ দিলাম। আমাদের মতো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মূলধনের অভাব। তারপর সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে মানসম্পন্ন কাঁচামালের অভাব। পাটের বহুমুখী পণ্য বানানো জন্য মানসম্পন্ন কাপড় ও জুট ফাইবারসহ কাঁচামাল প্রয়োজন। আমরা সেটা পাচ্ছি না। মানসম্পন্ন কাঁচামাল না পেলে আমাদের পণ্যে ভালো হবে না। পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ এক নম্বর সেখানে আমাদের কোয়ালিটি পাট কেন পাবো না? মানসম্পন্ন কাঁচামাল না থাকলে মানসম্পন্ন পণ্য কীভাবে বানাবো?

ঢাকাটাইমস: মানসম্মত পাট না পাওয়ার কারণ কী?

শাফিয়া শামা​ : মানসম্পন্ন পাট চলে যায় দেশের বাইরে। একটা সিন্ডিকেট এটা বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সোনালী, জনতা, আকিজের মত বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি মানসম্পন্ন কাঁচামাল উৎপাদন করছে। তারাতো এটা করছে পুরোপুরি রপ্তানির জন্য। তারা রপ্তানির ওপর সরকার থেকে ২০ শতাংশ ইনসেনটিভ পায়। তাই আমাদের কাছে যখন কাঁচামাল বিক্রি করে তখন এই ২০ শতাংশ যোগ করে বিক্রি করছে।

আমরা প্রথমেই কাঁচামাল কিনতে গিয়ে ঠকলাম। দেখা গেল দেশের বাইরে যারা কিনছে তারা আমাদের চেয়ে কম দামে কিনছে। যার ফলে তাদের উৎপাদিত পণ্য আমাদের চেয়ে কম খরচ হচ্ছে। আমরা কীভাবে ব্যবসায় টিকে থাকবো। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা কীভাবে আগাবে। যার ফলে গত বছর থেকে এবার পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে।

ঢাকাটাইমস: পাটপণ্য তৈরিতে আর কী কী সমস্যা আছে বলে মনে করেন?

শাফিয়া শামা​ : দক্ষ জনশক্তির অভাব, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে আছি। যত বেশি আধুনিক মেশিন ব্যবহার করা যাবে ততো উৎপাদন ভাল হবে। পণ্যের মান ভালো হবে। উৎপাদন খরচ কমে যাবে। আমি যদি সুতা, পাটের কাপড়সহ প্রয়োজনীয় জিনিস এক জায়গায় পেতাম তাহলে খরচ কমে যেতো।

দেখা যায় যে সূতা বিক্রি করছে সে একটা লাভ রাখছে। যে কাপড় বিক্রি করছে সে একটা লাভ করছে। তার ওপর আমরা মানসম্পন্ন কাঁচামাল পাচ্ছি না, পেলেও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আবার কোনো কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট চায়। এখন আমদের মতো যাদের ছোট প্রতিষ্ঠান তারা কিভাবে এ সার্টিফিকেট দেবে।

ঢাকাটাইমস: এ প্রতিবন্ধকতা থেকে উত্তরণের পথ কী হতে পারে?

শাফিয়া শামা​ : আমাদের মার্কেট প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। সেখানে বড় বড় জুট মিলগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া দেশিয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে তারপর বিদেশি রপ্তানি করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা নেই। তাই সরকারের কাছে আবেদন থাকবে দেশে যেন সুলভ মূল্যে মানসম্পন্ন পাটপণ্যে তৈরির কাঁচামাল পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করা। তার ওপর ভারত সরকার পাটপণ্য তৈরিতে ভর্তুকি দিচ্ছে। আমরা সরকার থেকে ভর্তুকি পাচ্ছি না। পাটের বহুমুখী পণ্য রপ্তানি যারা করছে তারা যেনো ভর্তুকি পায় সে দিকে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

ঢাকাটাইমস: পাটপণ্য লাভজনক করতে কী কী দরকার বলে মনে হয়?

শাফিয়া শামা​ : সরকারের কাছে আবেদন থাকবে পাটের বহুমুখী পণ্য তৈরির জন্য আলাদা একটা শিল্পনগরী করে দেওয়া। যেমন সাভারে চামড়া শিল্প নগরী করা হয়েছে। এমন হলে পাটপণ্য উদ্যোক্তারা সেখানে শিল্প কারখানা গড়ে তুলবে। এক জায়গায় আমরা প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পাবো। আমাদের কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট দেখাতেও তাহলে সমস্যা হবে না। আবার দেখা যায় কোনো রকম মূলধন নিয়ে পণ্য উৎপাদন করা হলো। কিন্তু সেটা কীভাবে বাজারজাত করতে হবে সেটা জানে না অনেকে। দেখা যায় কেউ ভাল পণ্য বানায় কিন্তু জানে না কোথায় পণ্য বিক্রি করবে। উদ্যোক্তা মানেই ঢাকার উদ্যোক্তা না। প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের পণ্য কিভাবে বাজারজাত করা যায় সেটা দেখতে হবে। তাদের মার্কেট ধরিয়ে দিতে হবে। তাকে জানাতে তার উৎপাদিত পণ্যে কিভাবে দেশের ভেতরেসহ বিদেশে কোথায় চাহিদা আছে। সেখানে এটা কীভাবে পৌঁছানো যায়। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) রয়েছে এগুলো দেখার জন্য তারা কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। এই যে ৬ মার্চ দুইদিনের বহুমুখী পাটপণ্যের মেলা হলো। কিন্তু দেখা গেল দুই দিনই বেশিরভাগ সময় বন্ধ ছিল। এখানে যে উদ্যোক্তা এসেছেন তারাতো ক্ষতিতে পড়েছেন। তারা সারা বছর আশায় থাকে এখানে পণ্য বিক্রির জন্য। দেখা যায় লাভতো দূরের কথা অনেকের স্টল ভাড়া, কর্মচারীদের বেতনসহ থাকা-খাওয়ার খরচই উঠেনি। জেডিপিসির এ বিষয়টা খেয়াল করা উচিৎ ছিল। যেহেতু দুই দিন পুরো সময় মেলা খোলা থাকেনি। তাই মেলার সময় বাড়ানো প্রয়োজন ছিল।

ঢাকাটাইমস: জেডিপিসিতো আন্তর্জাতিক মেলাতেও উদ্যোক্তাদের অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়?

শাফিয়া শামা​ : কয়েকটি প্রতিষ্ঠানই ঘুরে ঘুরে বিদেশি মেলাগুলোয় যাচ্ছে। সেখান থেকে পণ্যের অর্ডার নিচ্ছে। বিদেশে বাণিজ্য মেলায় জেডিপিসির মাধ্যমে অংশ নিলে ৩৫-৭০ শতাংশ ভর্তুকি পাওয়া যায়। কিন্তু প্রতিবার দুই তিনজন উদ্যোক্তা এই সুযোগ পাচ্ছে। তারাই ফ্রাঙ্কফুট মেলা করে আসছে, হংকং মেলা করে আসছে। যেখানে বায়ার পাবে সেখানে যাচ্ছে। পাট শিল্পতো শুধু দুই-তিনজন উদ্যোক্তার নয়, এটাতো সারা বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের। গত তিন বছর থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বহুমুখী পাটপণ্যের উপহার আমার প্রতিষ্ঠান থেকে করা হয়। এই বছরও গিয়েছে। বিভিন্ন দূতাবাসে উপহার দেয়ার জন্য আমার প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি পণ্য নেয়া হয়। তার মানে আমার পণ্যের মান ভাল। তাহলে আমি কেন জেডিপিসির মাধ্যমে বিদেশের মেলাগুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য ডাক পাই না। জেডিপিসির লিস্টে ১৫০-২০০ উদ্যোক্তা আছে। এর মধ্যে ৩০-৪০ জন ভাল কাজ করে। তারা পাটের বহুমুখী পণ্য রপ্তানি করে। তারা কেন যেতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটপণ্যের সম্প্রসারণে খুব আন্তরিক। তিনি চান এ শিল্পের বিকাশ। তাই পাটশিল্প উন্নয়নে এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই।

ঢাকাটাইমস: দেশে বহুমুখী পাটপণ্যের চাহিদা কেমন?

শাফিয়া শামা​ : দেশে ১৬ কোটি মানুষ। তাদের প্রচুর আগ্রহ আছে এ পণ্যের প্রতি। কর্পোরেট মার্কেট, বিভিন্ন এনজিও, ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিফট আইটেমের জন্য পাটপণ্য চাচ্ছে। কিন্তু তাদের চাহিদার তুলনার সেটা দেওয়া যাচ্ছে না। আমার মতো এমন ১০ জন উদ্যোক্তা এই মার্কেটের চাহিদা মেটাতে পারবে না। উদ্যোক্তাদের এসব পণ্য যেন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পৌঁছানো যায়। উৎপাদনকারী ও ক্রয়কারীর মধ্যে যেন যোগাযোগ করে দেয়া হয়। দেখা যায় এ যোগাযোগ না থাকার কারণে তারা চায়নার তৈরি বিভিন্ন গিফট আইটেমে কিনে থাকেন। এখানে প্রচুর চায়নার এজেন্ট আছে। অর্ডার দিলেই পণ্য দ্রুত চলে আসে।

ঢাকাটাইমস: দেশে পাট দিয়ে কোন পণ্যগুলো বানানো হয়?

শাফিয়া শামা​ : পাট দিয়ে কী বানানো যায় না সেটাই খুঁজে দেখার বিষয়। পরিধেয় বস্ত্রের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, ব্লেজার, ফতুয়া, কটি, শাড়িসহ আর অনেক কিছু। এছাড়া জুতা, জানালার পর্দা, বেড কভার, কুশন কভার, সোফা কভার, কম্বল, পর্দা, টেবিল রানার, টেবিল ম্যাট, কার্পেট, ডোরম্যাট, শতরঞ্জি, সো-পিস, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারযোগ্য বহুবিধ জিনিস পাটপণ্যে তৈরি হয়। এছাড়া ফাইল কভার, বিভিন্ন প্রকার ব্যাগ, বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফ্ট, ছিকাসহ পাটের বহুমুখী আরও অনেক পণ্য তৈরি হয়। পাট দিয়ে যে এসব জিনিস তৈরি হয় তা দেশের বেশিরভাগ মানুষই জানে না।

ঢাকাটাইমস: নারী উদ্যোক্তারা ঋণ পেতে কোন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন?

শাফিয়া শামা​ : বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালায় তেমনই আছে। কিন্তু দেখা যায় নানা শর্ত জুড়ে দেয়া হচ্ছে। ভ্যাট সার্টিফিকেট, টিন নম্বর, ট্রেড লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট নিলেও আমাকে লোন দেবে না। লোন দিলেও সেটা তিন-চার মাস ঘোরায়। ধরুন সামনে পণ্য বিক্রির একটা ভালো সময় পহেলা বৈশাখ। আমার এখন লোন প্রয়োজন। এ লোনের টাকা যদি তিন মাস পরে দেয় তাহলে তখন সেই টাকা দিয়ে কী করবো। অথবা শিপমেন্টের সময় যদি টাকা না পাই। আমার এ অবস্থা হলে প্রান্তিক যে নারী উদ্যোক্তারা আছেন তাদের কী অবস্থা সেটাতো বোঝাই যায়। আমাদের মতো নারী উদ্যোক্তাদের কেউ টাকা দেয় না। না স্বামী দেয়, না বাবা, না ব্যাংক। কোনে কোনো বাবা হয়তো দিতে সাহস করে তবে সেটার সংখ্যা কম।

ঢাকাটাইমস: ব্যবসায় সময় দেয়ার পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়ায় খেয়াল রাখেন কীভাবে?

শাফিয়া শামা​: বাচ্চাদের ছোট বেলা থেকেই এমনভাবে গড়ে তুলেছি যে তারা ঠিকভাবেই পড়াশুনা করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে মা কাজ করছে এখন আমাদের নিজেদের কাজ নিজেদেই করতে হবে। দেখেছি তারা আরও দায়িত্ববান হয়েছে। বলতে হয়নি যে পড়তে বস। আমার বড় মেয়ে মালয়েশিয়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। আর ছেলে এখানেই ও-লেভেলে পড়ছে। অনেকে বলে মা কাজ করলে সন্তানরা ঠিকমতো মানুষ হয় না, এ কথা ভুল। বাচ্চাদের নীতি নৈতিকতা ঘর থেকেই শেখাতে হবে। আপনি বাচ্চাকে যেভাবে গড়ে তুলবেন তারা সেভাবেই মানুষ হবে। আমার সন্তানদের পড়াশুনায় খারাপ রেজাল্ট হয়নি। আমি যখন রান্না করতে পারিনি তখন তারা নিজেরাই রান্না করেছে। তার মানে তারা দুই দিকদিয়েই এগিয়ে গিয়েছে। কর্মজীবী নারী সন্তানদের ঠিক মত মোটিভেট করতে পারলেই হবে।

সংক্ষেপে শাফিয়া শামা​

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে দর্শনে এমএ করেন শাফিয়া শামা। এরপর বাংলাদেশসহ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া থেকে নারী উদ্যোক্তা এবং ডিজাইনিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। বিশ্বখ্যাত আমেরিকার ডিজাইনার এলাইনির কাছ থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ থেকে ২০১৬ সালে সামোয়াতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথের উইমেন মিনিস্টার মিটিংয়ে স্পিকার হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

২০১৬ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স ফোরাম থেকে শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ওমেন এন্টারপ্রেনার অফ দ্যা ইয়ার স্বীকৃতি পেয়েছেন ২০১৫ সালে। বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রেনার্স (বিএফডব্লিউই) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাফিয়া শামা

ঢাকাটাইমস/০৯মার্চ/ওআর/এমআর

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০
বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
ধোবাউড়ায় সীমান্তে দুই শিশুসহ ৯ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক শেষে ব্রিফ করবেন আমীর খসরু 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা