টাঙ্গাইলের সৃষ্টি স্কুলে ছাত্র পেটানো নিয়ে অস্থিরতা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ মার্চ ২০১৯, ২০:০৬
অ- অ+
ফাইল ছবি

টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকায় অবস্থিত সৃষ্টি রেসিডেনশিয়াল স্কুলে ছাত্র পেটানো ও ভাঙচুরের অভিযো-পাল্টা অভিযোগে সেখানে চলছে অস্থিরতা। এক দফা সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর আগামীকাল বুধবার আবার অভিভাবকদের ডাকা হয়েছে।

সিগারেট খাওয়ার পর একটি সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের গ্যাস ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ১১ ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটান বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত এক ছাত্রকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সৃষ্টি রেসিডেনশিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র ধূমপান করে। এ খবর জানতে পেরে আবাসিক শিক্ষক তাদের ডেকে শাসিয়ে দেন এবং বিষয়টি অভিভাবকদের জানান। এরপর ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে ভবনের ভেতরে একটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। তা ছাড়া বারান্দায় অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের গ্যাস ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ১১ জন ছাত্রকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মেঝেতে ফেলে স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।

পরদিন সকালে অভিভাবকদের খবর দিলে তারা ছাত্রদের নিয়ে যান। শনিবার রাতেই আবাসিকের ছাত্ররা ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রবিবার কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ ঘোষণা করলে আবাসিক ছাত্ররা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়। সোমবার আহত ছাত্রদের অভিভাবকদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সব অভিভাবক না আসায় বুধবার আবার বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে আবাসিকের এক ছাত্রের বাবা মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে বলেন, ‘ছেলেদের এখানে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছি। কেন তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হলো? আমরা এর বিচার চাই।’ থানায় গিয়ে কোনো প্রতিকার পাননি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, গত শনিবার সকালে আহত ছাত্রদের নিয়ে যাওয়ার পর কীভাবে ভবনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে! তা ছাড়া ভাঙচুরের সময় স্কুল কর্তৃপক্ষসহ পুলিশও উপস্থিত ছিল। মারধরের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অন্য ছাত্রদের দিয়ে ভাঙচুরের ‘নাটক’ সাজানো হয়ে থাকতে পারে বলে তাদের সেন্দহ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সৃষ্টি রেসিডেনশিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ লিয়াকত আলী লিটন বলেন, আবাসিকের কয়েকজন ছাত্র সিগারেট খাওয়ায় আবাসিক শিক্ষক তাদের একটু শাস্তি দিয়েছেন। এই ক্ষোভে তারা ভবনে ভাঙচুর চালায়। যাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, তাদের অভিভাবকদের নিয়ে বুধবার বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান বলেন, স্কুলের ছাত্ররা ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ দিতে এলে তাদের কথা শোনা হয়নি এ কথা সত্য নয়। কেউ অভিযোগ দিতে এলে অবশ্যই তা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এলপি গ্যাসের দাম কমেছে
এনআরবি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পোর্টফোলিও ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
মাঠপর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের সেবা প্রদানে জনবল সংকটসহ নানা দুর্বলতা রয়ে গেছে: বিডিডিটি
হবিগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ২
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা