প্রশ্নফাঁসে দাওরায়ে হাদীসের পরীক্ষা বাতিল, নতুন সময়সূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১৯| আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৪১
অ- অ+
ফাইল ছবি

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের (তাকমিল জামাত) পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে চলমান এই পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত পরীক্ষা হবে।

শনিবার সকাল সাতটায় আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে ঢাকার মতিঝিলে সংস্থাটির কার্যালয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে দাওরায়ে হাদীসের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত হাইয়াতুল উলইয়ার সদস্য মাওলানা মুসলেহুদ্দিন রাজু নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এর আগে অনুষ্ঠিত হওয়া দাওরায়ে হাদীসের সকল বিষয়ের পরীক্ষা নতুন করে হবে। আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত দাওরায়ে হাদীসের পরীক্ষা হবে। ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে পরীক্ষা বিরতি রয়েছে। পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, মুফতি রুহুল আমিন, মুফতি আরশাদ রাহমানী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা শামসুদ্দিন জিয়া, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি এনামুল হক, মুফতি নুরুল আমিন, মুফতি জসিমউদ্দিন, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী প্রমুখ।

গত সোমবার সম্মিলিত শিক্ষাবোর্ড আল হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা শুরু হয়। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পরীক্ষা চলার কথা ছিল। কিন্তু বিগত কয়েকটি পরীক্ষায় ফরিদাবাদ মাদ্রাসাসহ দেশে কয়েকটি স্থানে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের খবর পাওয়া যায়। এমন প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আগে অনুষ্ঠিত হওয়া সব পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়।

বোর্ডে থাকা দায়িত্বশীল একজন বলেন, শনিবার সকাল সাতটায় রাজধানীর মতিঝিলের আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ছয়টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৩৬১টি কেন্দ্রে মোট ২৬ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তাদের মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় সাত হাজার।

ছয়টি শিক্ষা বোর্ড হলো- বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ, আজাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশ, তানজিমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ এবং জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড।

গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ‘কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়। আইন পাস হওয়ার পরে সংস্থাটির অধীনে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা হচ্ছে এবার।

ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এমআর

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার-নির্বাচন কোনোটা ঠিকমত করতে পারবে কিনা সংশয়: মঞ্জু
বিজয়নগর সীমান্তে পুশইনের চেষ্টা, বিজিবির টহল জোরদার 
গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩
কাকরাইল মোড়ে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, দুপুরে গণঅনশন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা