ওসি মোয়াজ্জেমের মামলায় বাদী সুমনের সাক্ষ্য শেষ
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির যৌন হয়রানিসংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে আইনজীবী ফারুক আহমেদ এ সাক্ষীকে জেরার পর তা শেষ হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম সহায়তা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণকালে কারাগারে থাকা আসামি ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ট্রাইব্যুনালে কারাকর্তৃপক্ষ হাজির করেন।
মামলায় গত ১৭ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আসামি মোয়াজ্জেমের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করেন। এ মামলায় গত ১৬ জুন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন গ্রেপ্তার হন এবং ১৭ জুন তাকে একই ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একই বিচারক। এরপর গত ২৪ জুন এক আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাবিধি অনুযায়ী তাকে ডিভিশন প্রদানের আদেশ দেন। প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে কারাবিধি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ভোগ করছেন।
চলতি বছর ২৭ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এ মামলায় দাখিলকতৃ তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিনই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।
অধ্যক্ষ সিরাজ উদদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা তুলে নেয়ার জন্য গত ৬ এপ্রিল রাফিকে মুখোশ পরা ৪/৫ জন চাপ প্রয়োগ করে। এতে তিনি অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর মুখোমুখি থাকার পর ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্র্ন ইউনিটে মারা যান রাফি। ঘটনাটি দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/আরজেড/জেবি)