‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিরুদ্ধে সমাবেশের ঘোষণা শামীম ওসমানের

নারায়ণগঞ্জ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমন অভিযোগ করে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আলোচিত সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে কাউকে খেলতে দেওয়া হবে না। যারা নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে খেলতে চাইছে তারা হয়তোবা ভুল করে খেলছেন। যাদের সঙ্গে ছাত্রজীবনে খেলে আসছি তারা এখন মনে করছেন নাটক খেলবেন। আগে বয়স কম ছিল তখন চিন্তা করি নাই। এখন চিন্তা করি।’

শামীম ওসমান জানান, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিশাল জনসভা হবে। সব কিছুর বক্তব্য দেওয়া হবে সেদিন। তিনি বলেন, এটা চাষাঢ়া শহীদ মিনার অথবা আশেপাশে হবে। আর যারা নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধেই এ সমাবেশ হবে। সমাবেশের আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের দেখে তাদের বুক থরথর কাঁপে। এ সমাবেশ দেখে শেখ হাসিনা যেন গর্ববোধ করতে পারেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় একটি মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় আকবর টাওয়ারে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

মতবিনিময়কালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আলোচিত এই সাংসদ বলেন, ‘একটা গভীর ষড়যন্ত্র সারাদেশে হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জও তার চেয়ে বিচ্ছিন্ন না। ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে স্থানীয় ষড়যন্ত্র যোগ হয়েছে। এর পেছনে টাকাও রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে অনেক টাকা এসেছিল এবং সেই দিন আমাকে মারার জন্য বোমা হামলা হয়েছিল। আমার ২০ জন কর্মী মারা গিয়েছিল। সেই ব্যথা আজও ভুলতে পারি না। এখনো সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই বুঝি কী করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিচ্ছু করতে পারবে না।’

‘কারা করার চেষ্টা করছে সেটাও বুঝি। জামায়াতের সাথে কারা কানেকশনে যাচ্ছে, কারা জামায়াতকে নিবন্ধন দিচ্ছে, কাদের নিয়ে কোথায় মিটিং হচ্ছে, কোন হোটেলে গিয়ে বসছে, সব খবরই আমি পাই এবং তা সবার আগেই পাই। আমি এগুলো নিয়ে বিচলিত নই।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর আমি নারায়ণগঞ্জ এসেছিলাম। তখন অনেকেই অনিশ্চয়তায় ছিলেন। সেদিন লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটেছিল। সে রাতেই সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করতে ঘেরাও করেছিল। তখন আপনাদের মতো হাজার হাজার মানুষ খেয়ে না খেয়ে আমাকে ১৭ দিন পাহারা দিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীও সেদিন আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করবো কারো ডাকের অপেক্ষায় না থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের সমাবেশে যোগ দেবেন।’

মতবিনময় সভায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুজ্জামান, সহসভাপতি শহীদুল্লাহ, এমএ আউয়াল, যুগ্ম সম্পাদক বিএম শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালী মাহামুদ, বদিউল আলম বদু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শিরিন বেগম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির প্রমূখ।

(ঢাকাটাইমস/০৩সেপ্টেম্বর/জেবি)