মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমানের আদলে মোদির বিমান, খরচ নিয়ে প্রশ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১৫
অ- অ+

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যবহৃত বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানের আদলে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমান। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমানে যেসব নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় রয়েছে মোদির এই বিমানে থাকবে তার সবই। তবে মোদির জন্য তৈরি হতে যাওয়া এই বিমানের বিপুল খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির বিরোধী রাজনীতিবীদরা।

শোনা যাচ্ছে, কার্যত মোদির অফিসের ছোট সংস্করণ থাকবে সেখানে। মাঝ আকাশ থেকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যোগাযোগ করা যাবে।

শুধুমাত্র ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য একজোড়া বিশেষ বিমান তৈরি হচ্ছে মার্কিন বিমান নির্মাতা সংস্থা বোয়িংয়ের ডালাসের কারখানায়। এটি দিল্লির হাতে আসার কথা ২০২০ সালের জুন-জুলাই নাগাদ।

বোয়িং-সেভেন সেভেন সেভেন এর বিশেষ বিমানে থাকবে এসপিএস এবং এলএআইআরসিএম প্রযুক্তি। যা আকাশে আচমকা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বিমানটিকে সুরক্ষা দেবে। এই প্রযুক্তিতে রেডার জ্যাম হয়ে যাওয়ায় চট করে বিমানের অবস্থান খুঁজে পাবে না মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও।

এক্ষেত্রে ভারতই প্রথম দেশ যাকে এই প্রযুক্তি দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসকে দেওয়া সেদেশের প্রতিরক্ষা দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওই প্রযুক্তি হস্তান্তরে চুক্তি হয়েছে ১৯ কোটি ডলারের (প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা)।

এত দিন বিদেশ সফরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বোয়িং-সেভেন ফোর সেভেন-ফোর হান্ড্রেড বিমানে পাড়ি দিতেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে এই বিমানের নাম ছিল ‘এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান’। এর রক্ষণাবেক্ষনও করে এয়ার ইন্ডিয়া।

শোনা যাচ্ছে, নতুন বিমানের ককপিটে থাকবেন বিমানবাহিনীর বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত পাইলট। আর বিমানবাহিনী বা এয়ার ফোর্স পুরো দায়িত্ব নিলে, এই বিমানের নামও (কল সাইন) বদলে যেতে পারে এয়ার ফোর্স ওয়ানের। ঠিক মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘রাজকীয়’ বিমানে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে পাড়ি দিতে হলেও তেল ভরতে হয় না। মাঝ আকাশেই সেরে ফেলা যায় যেকোনো মিটিং। বিশ্বের সকল শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় যেকোনো মুহূর্তে।

কিন্তু এই বিপুল সুবিধার খরচও নেহাত কম নয়। তেল থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রতি ঘণ্টায় এই বিমানের ওড়ার গড় খরচ ২ লক্ষ ডলার।

যুক্তরাষ্ট্র এখন দু’টি বোয়িং-সেভেন ফোর সেভেন-টু জিরো জিরো বি বিমানকে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ হিসেবে ব্যবহার করে। ভারতের নতুন দু’টি ভিভিআইপি বিমানের সুরক্ষা-ব্যবস্থা সেগুলির মতোই হবে বলে ভারতের সরকারি সূত্রের বক্তব্য। যদিও এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্যও তৈরি হচ্ছে দু’টি নতুন বিমান। সে দেশের প্রতিরক্ষা দফতরের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, এই দু’টি বিমানের শুধু তৈরির খরচ গিয়ে ঠেকতে পারে ৫২০ কোটি ডলারে। অর্থাৎ এক-একটি ২৬০ কোটি ডলার (প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা)।

ভারতের নতুন দু’টি ‘ভিভিআইপি’ বিমানের নির্মাণ ও ওড়ার খরচ কেমন হতে পারে, তা এখনও অজানা।

ঢাকা টাইমস/১১অক্টোবর/একে

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কক্সবাজারের যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ জন আটক
গোপালগঞ্জে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকারের তদন্ত কমিটি গঠন
অর্ধশত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দিল মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ
সব অপরাধী ধরা না পড়া পর্যন্ত গোপালগঞ্জে অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা