দুদকের মামলায় শামীম-খালেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা জি কে শামীম এবং বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে দুদক।
মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন আসামি শামীমকে এবং উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আসামি খালেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর এই আবেদন করেন।
ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন প্রথমিক শুনানি শেষে আগামী ২৭ অক্টোবর আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি দিন ঠিক করেছেন।
গত ২১ অক্টোবর এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী এই মামলা করেন।
অন্যদিকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অর্জনের অভিযোগে উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মামলাগুলোয় যথাক্রমে আগামী ১৯ নভেম্বর এবং ১৮ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
শামীমের মামলায় বলা হয়, ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত আসামি শামীম ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও ওই টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক। এছাড়া তার বাসা থেকে উদ্ধারকৃত নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও সাত লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেমি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎসও পায়নি দুদক।
অন্যদিকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মামলায় বলা হয়, এই আসামি চার কোটি ৫০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৭০৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাবের অভিযানে তার গুলশানের বাসা থেকে ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। যার কোনো উৎস দেখাতে পারেননি খালেদ। তাই তার বিরুদ্ধে মোট পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খালেদ গত ১৮ সেপ্টেম্বর ও গত ২০ সেপ্টেম্বর জিকে শামীম ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোনে গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারে পর উভয় আসামিকে অস্ত্র, মানিলন্ডরিং ও মাদক মামলায় বিভিন্ন দফায় রিমান্ড শেষে গত ১৩ অক্টোবর কারাগারে পাঠানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/আরজেড/জেবি)