অধ্যক্ষকে টেনেহিঁচড়ে পুকুরে ফেলল ছাত্রলীগ

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
  প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৫৫| আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৩৫
অ- অ+

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে টেনে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের ভেতরেই এই ঘটনা ঘটে।

অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ তখন মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে নিজের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে থাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, অন্তত ১০ জন তরুণ অধ্যক্ষকে দ্রুতগতিতে পুকুরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ অধ্যক্ষের হাত ধরে টানছিলেন আবার কেউ পেছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যেই অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যান।

অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা আমার কাছে অন্যায় দাবি নিয়ে আসত। তাদের দাবিগুলো মানার মত থাকে না। সেসব দাবি না মানার কারণে তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এ জন্যই তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুজন ছাত্রের ফরম পূরণ হয়নি। সেই দুই ছাত্রের ফরম পূরণ করানোর জন্য সকালে কয়েকজন আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু আমি বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বলি। এ সময় তারা আমাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে। এতে আমি তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি কথা বলি। এরপর তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বের হয়ে যায়।’

অধ্যক্ষ বলেন, ‘দুপুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় কামাল হোসেন সৌরভ আমার পথ আটকে দাঁড়িয়ে বলে, স্যার কথা আছে। একটু পুকুরের ধারের দিকে আসেন। আমি যেতে না চাইলে তারা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তারা পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে দুজনের মুখ বাধা ছিল।’

প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, যেখানে আমাকে ফেলে দিয়েছে সেখানকার পানির গভীরতা ছিল ১২ থেকে ১৫ ফুট। আমি সাঁতার জানতাম বলে বেঁচে গেছি। সাঁতার কেটে পাড়ে চলে এসেছি। সাঁতার না জানলে হয়তো আজই শেষ হয়ে যেতাম।’ অধ্যক্ষ জানান, এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রিগেন বলেন, ‘অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের ছেলেরা জড়িত কিনা তা এখনো নিশ্চিত নই। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নগরের চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গোলাম মোস্তাফা বলেন, ‘খবর পেয়ে পলিটেকনিকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়। তবে তারা কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সিসিটিভির ভিডিও দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২নভেম্বর/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না: আমিনুল হক 
আ.লীগ দেশকে গোলামীর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল: মুফতি ফয়জুল করিম
জয়পুরহাটে জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে দুই আ. লীগ নেতা
সামিট-ইউনাইটেডসহ ১৫৮ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নথি নিল দুদক, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লুটপাট ১ লাখ কোটি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা