শীতেও কেন পার্কে আসেন তারা? (ভিডিও)

লিখেছেন- হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, ভিডিও ধারণে ছিলেন- আসাদুজ্জামান
| আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:১৪ | প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৫৪

পার্কে মানুষ কেন যায়? কী সুখ বৃক্ষসংসর্গে? শীতেও কেন পার্ক টানে তাদের? প্রশ্ন ছিল। প্রায় অভিন্ন উত্তর মিলেছে পার্কবিলাসি মানুষের কাছ থেকে। বললেন, প্রকৃতির টানে। প্রাণের স্পন্দন পাওয়া যায়। গাছ মানুষের উপকারী বন্ধু। অকৃত্রিম বন্ধুর কাছ থেকে মানুষ প্রাণের শক্তি পান। বেঁচে থাকার সাহস পান। বৃক্ষ শেখায় উদারতা। আর তাইতো এই শীতেও উদ্যানে টানে ছুটে আছেন প্রকৃতিপ্রেমিরা।

বৃহস্পতিবার শীতের বিষন্ন বিকেলে প্রাণ পেয়েছিল রমনা পার্ক। দেখা মিলেছে বিভিন্ন বয়সের মানুষের। বাবা-মায়ের হাত ধরে শিশুরা যেমন ছিল, ছিলেন বয়োবৃদ্ধরাও। পথচারী, বিভিন্ন পণ্যের ভ্রাম্যমান বিক্রেতা আর প্রেমিকযুগল। পার্কের বেঞ্চিতে যারা বসেছিলেন জবুথবু হয়ে। এ ঘনিষ্ঠতা শীত-প্রীতি দুটোরই।

ঢাকা খুব একটা নেই খোলা উদ্যান, মাঠ। তাই তো বাবার হাত ধরে ব্যাডমিন্টন খেলতে এসেছিল শিশু ফাইয়াজ আর জেসিয়া। পিঠাপিঠি ভাইবোনের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠেছিলেন বেসরকারি চাকুরে মোয়াজ্জেম হোসেন।

নানা বয়সের স্বাস্থ্যসচেতন নারী-পুরুষের দেখা মিললো পরন্ত বিকেলে। যারা পার্কময় হেঁটে কিংবা বেরিয়েছেন। এতে যেমন চাঙ্গা হয়েছে শরীর। সারাদিনের কর্মযোগের বিষাদও কেটে গেছে।

নিথর পার্কে কাক আর কাঠবিড়ালির ছুটে চলা দৃষ্টি কেড়েছে। নারিকেল গাছের কোঠর থেকে বেরিয়ে এসে কাঠবিড়ালিগুলো খুটে খুটে খাবার খাচ্ছিলো। খোসা ছাড়িয়ে বাদাম খেতে দেখা গেল কয়েকটি কাঠবিড়ালিকে।

অদূরে বসে একজন পার্কদর্শনার্থী বাদাম ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন তাদের। কথা হলো তার সঙ্গে। জানালেন, প্রায়ই আসেন এখানে। অফিস থেকে বাড়িতে ফেরার পথে। কিছুটা সময় কাটিয়ে যান কাঠবিড়ালি আর কাকেদের সঙ্গে। কয়েকটি কাক তখনো হল্লা করছিলো তার চারপাশে। রমনার প্রাণ আসছে আকাশে মাথা তোলা গাছগুলোর মাঝে। নানা রঙের গাছ। মানুষের মতো তাদের বিচিত্র সব নাম। আছে ফুল। চেনা-অচেনা। অনাদরে বুনোফুলও ফুটে আছে কোথাও কোথাও। তারাও এই বৃক্ষ সংসারের গর্বিত সদস্য।

পার্কের নিরাপত্তা কর্মীদেরও দেখা গেলো। আনসার সদস্য। হেঁটে হেঁটে টহল দিচ্ছিলেন। জানালেন, নিরাপত্তা খুবই ভালো। কোনো অভিযোগ নেই মানুষের। তবে সন্ধ্যার পর পার্কের অন্দরে খুব একটা লোকজনকে আসতে দেওয়া হয় না। মূল সড়কের পাশের রাস্তায় কেউ কেউ হাঁটেন, তাদের জন্য খোলা থাকে। পার্কে দেখা মিলেছে নিথর জলেরও। ছোট একটি খাল উদ্যানের বুক চিড়ে আছে। হয়তো চুপটি মেরে শুনছিল পাখির ডাক। প্রকৃতির আহ্বান।

পার্ক ঘিরে অনেক ধরনের মানুষের জীবিকাও নির্বাহ হয়। বাদাম, চকলেট, চিপস, পপকর্ন কিংবা পান, পানি ফেরি করে ফেরেন কেউ কেউ। দিনভর এই পার্কের তাদের ভ্রাম্যমান পসরা। কেউ আবার সাহায্য প্রত্যাশী। সবকিছু মিলে রমনার উদ্যান যেন একটুকরো ঢাকার চলন্ত ছবি।

(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/এইচএফ/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :