শীতে চা না কফি?

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ১১:২৯ | প্রকাশিত : ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৪৭

শীতের সকালে দারুণ এনার্জি নিয়ে শুরু করার জন্য চা বা কফি দুর্দান্ত। চা আর কফি দুইয়েরই নিজস্ব গুণ ও উপকারিতা আছে। কী ধরনের উপকার চান তার উপর নির্ভর করে পছন্দনীয় পানীয় কোনটা বেশি ভালো, চা নাকি কফি?

দার্শনিক, লেখক, বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সবার চা বা কফি পানের প্রচুর অভ্যাস রয়েছে। চা-কফি নিয়ে প্রাচীন যুগেও অনেক মিথও রয়েছে।

প্রাচীন বিতর্কের বয়স এই দুই বিখ্যাত পানীয়র ব্যবহারের বয়সের চেয়ে কম নয় মোটেই। এই দুই ক্যাফিনযুক্ত পানীয় বিশ্বে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এবং সকালের নাশতার সঙ্গে বা যে কোনো সময় প্রায় এক অত্যাবশ্যক পানীয় হয়ে উঠেছে। কেউ দুধ চা, কেউ বা লেবু, কেউ বা স্রেফ লিকার চা। একইভাবে কেউ বেশি ঘন করে দুধ দিয়ে কফি, কেউ বা কালো কফি। চা বা কফি প্রেমীদের কাছে এসব আসলে তো কেবল পানীয় নয়, প্রেমও।

কিন্তু প্রশ্নটা রয়েই গেল। সকালের নাশতার সঙ্গে চা বেশি ভালো নাকি কফি! আমরা সবাই জানি যে, অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন খাওয়া হলে স্নায়বিক উত্তেজনা, উদ্বেগ, পেটের সমস্যা এবং গ্যাস, এমনকি অনিয়মিত হৃদস্পন্দনসহ বেশ কয়েকটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তাই অতিরিক্ত ক্যাফিনে বাধা দেন। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএস নিরাপদ ক্যাফেইন ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করেছে ৪০০ মিলিগ্রাম, যার অর্থ হলো প্রায় চার থেকে পাঁচ ছোট কাপে কফি। এবার দেখা যাক এই দুটি জনপ্রিয় পানীয়র মধ্যে কোনটি আপনার সকালের নাশতার সঙ্গে খাওয়া সব থেকে ভালো।

চা এবং কফি দুইয়েরই নিজস্ব সুবিধা এবং ত্রুটি রয়েছে। সাধারণত দুধ ও চিনি ছাড়াই চা ও কফি খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ব্ল্যাক কফিতে আবার কালো চায়ের থেকে বেশি ক্যাফেইন আছে। কালো চায়ে প্রতি আট আউন্সে (আনুমানিক ২৩৬ মিলিমিটার) প্রায় ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে, তবে কালো কফিতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থাৎ প্রতি আট আউন্সে ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। তাই যদি আপনার ক্যাফেইন-সংবেদনশীলতা বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থাকে তবে কালো কফির পরিবর্তে কালো চা খাওয়া শুরু করুন।

ব্ল্যাক কফি টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে, বিপাক এবং শক্তির মাত্রা উন্নত করে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এমনকি জ্ঞানের উন্নতি এবং আলঝাইমার্স ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও কমায়। কালো কফি অবশ্য কালো চায়ের থেকে বিপাককে আরও উন্নত করে তুলতে পারে এবং এ কারণে জিম করেন যারা তাদের ক্ষেত্রে কালো কফি বেশি ভালো। অন্যদিকে চা সবুজ, কালো, সাদা ও বিভিন্ন ক্যাফেইন সমৃদ্ধ জাতের পাওয়া যায়। আপনি কোন ক্যাফেইনযুক্ত চা পছন্দ করেন তার উপর নির্ভর করছে কোন স্বাস্থ্য উপকারিতা আপনি পাবেন। উদাহরণস্বরূপ, কালো চা রক্তচাপ হ্রাস, রক্তে ​​চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহে সমৃদ্ধ যা হৃদয়ের কার্যকারিতা রক্ষা করে এবং শরীরের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

পছন্দের পানীয় থেকে আপনি কোন ধরনের উপকার পেতে চান তার উপর ভিত্তি করেই সকালের পানীয় বাছতে হবে আপনাকে। যদি আপনি দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করতে চান তবে কফি ভালো। কিন্তু যদি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ বাড়াতে চান তবে কালো চা খান। অ্যাসিডিটির প্রবণতা যাদের আছে তারা কফি এড়িয়ে চলুন, দুধ-চিনি ছাড়া চা খান। বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চাইলে সবুজ চা এবং সাদা চা খান। অম্লতার সমস্যায় হারবাল চা খান।

(ঢাকাটাইমস/৮জানুয়ারি/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :