ট্রাফিক সিগন্যালের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে রুল
ট্রাফিক সিগন্যালের বাতি অব্যবস্থাপনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়ে অপারেটিভ সিগন্যাল সিস্টেম মনিটরিংয়ে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুলাইমান হাওলাদার মিন্টু।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরির্দশক (আইজিপি), ডিএমপি কমিশনার, কমিশনার ট্রাফিক, দুই সিটি করপোরেশনের সিইওসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি ট্রাফিক সিগন্যালের বিধি প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অ্যাডিশনাল কমিশনার ট্রাফিককে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান, রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক।
এর আগে গত রবিবার অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটে ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়ে অপারেটিভ সিগন্যাল সিস্টেম মনিটরিংয়ে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আইনজীবী জানান, দিনের পর দিন ট্রাফিক সিগন্যালের অব্যবস্থাপনার জন্যে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা ঘটছে। ঠিক মতো বাতি জ¦লছে না। দেখা গেছে, বাতি জ¦ললেও ট্রাফিক পুলিশ হাতের ইশারায় গাড়ি থামিয়ে আবার চলতে বলছে।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বিআরটিসির দুই বাসের মাঝে রাজীবের বিচ্ছিন্ন হাত আটকে থাকার ছবি দেশের মানুষের হৃদয় কাঁদিয়েছিল। একই বছরের ২৯ জুলাই শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় নিহত হওয়ায় বিক্ষোভ করেছে সহপাঠীরা। রাজীবের ঝুলে থাকা হাত আর দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু স্পষ্ট করে সড়কে পরিবহনের অব্যবস্থাপনার চিত্র।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলে, সড়ক অব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা হয়, হয়েছে নতুন আইন, সরব হয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও। তবুও সড়কে ফিরছে না শৃঙ্খলা। এখনও সড়কে স্পষ্ট অব্যবস্থাপনা।
(ঢাকাটাইমস/২০ জানুয়ারি/এআইএম/কেএম/এলএ)